আরবিসি ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ (বাজেট) অধিবেশন আজ (বুধবার) বিকেল ৫টায় শুরু হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানে প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন। এ অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবস ৩ জুন বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করা হবে।
ওইদিন বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল তার দায়িত্বকালের তৃতীয় বাজেট, আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম এবং বাংলাদেশের ৫০তম বাজেট উপস্থাপন করবেন। আর এটি হবে বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন দ্বিতীয় বাজেট অধিবেশন। এর আগে গতবছর ১০ জুন করোনা মহামারির মধ্যে চলতি অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। ১১ জুন ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়।
এদিকে সংসদ সচিবালয় থেকে বাজট অধিবেশনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। করোনা মহামারির এ সময়ে এ অধিবেশনের মেয়াদ স্বল্প সময়ের হওয়ার কথা রয়েছে। ২ জুন শুরু হয়ে মুলতবি দিয়ে দিয়ে ৩ জুলাই অধিবেশন শেষ হতে পারে। আর সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর বাজেট নিয়ম অনুযায়ী ৩০ জুনের মধ্যে পাস করা হবে।
এবার বাজেটের আকার হতে পারে ছয় লাখ কোটি টাকার ওপরে। চলতি (২০২০-২০২১) অর্থবছরের বাজেট ছিল পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। আর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট অর্থাৎ ১৯৭২-৭৩ সালে বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। দেশের প্রথম বাজেট উত্থাপন করেন তাজউদ্দীন আহমদ।
করোনা মহামারির মধ্যে এবারও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজেট অধিবেশন চালানো হবে। সংক্ষিপ্ত সময়ে শেষ হবে বাজেট অধিবেশন। বিরতি দিয়ে এ অধিবেশন ১০ থেকে ১৩ কার্যদিবস চলতে পারে।
এদিকে এ সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের শেষ কার্যদিবস অর্থাৎ ৪ এপ্রিল মারা যান ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক। ফলে ২ জুন ত্রয়োদশ অধিবেশনের প্রথম দিন প্রয়াত সংসদ সদস্যের ওপর আনীত শোকপ্রস্তাবের আলোচনা শেষে অধিবেশনের মুলতবি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।
এছাড়া বাজেট পেশের পর ৪ ও ৫ জুন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ৬ জুন রোববারের কার্যদিবসে সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা শুরু হবে। সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা শেষে ৭ জুন সম্পূরক বাজেট পাস করার কথা রয়েছে। এরপর বিরতি দিয়ে প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ওপর আলোচনা শুরু করা হবে। আর তা ৩০ জুন বুধবার পাস হতে পারে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এবারও কোভিড টেস্টের নেগেটিভ সনদ নিয়ে সংসদ সচিবালয়ে প্রবেশ করতে হবে। প্রতি ৭২ ঘণ্টা পর পুনরায় নেগেটিভ সনদ মিললেই সংসদ সদস্যরা কেবল অধিবেশনে যোগদান করতে পারবেন। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদেরও কোভিড নেগেটিভ সনদ লাগবে।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানা গেছে, প্রতিদিন ১১০ থেকে ১২০ জন সংসদ সদস্যকে অধিবেশনে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্বে বসে সংসদ অধিবেশন চলবে।
এবারও গণমাধ্যমকর্মীদের সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার থেকে সংসদ অধিবেশন কাভার করতে হবে। তবে বাজেট পেশের দিন এবং অধিবেশন শেষ হওয়ার দিন সংসদে সাংবাদিক লাউঞ্জে প্রবেশের সুযোগ থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে। এ জন্য মঙ্গলবার থেকে সংসদ মেডিকেল সেন্টারের পরিচালনায় কোভিড টেস্ট শুরু হয়েছে।
আরবিসি/০২ জুন/ রোজি