আরবিসি ডেস্ক : শুধু ব্রণ ওঠার জায়গায় চিকিৎসা করলে সমস্যা ফিরে আসে বার বার। ত্বকে বড় আকারের ব্যথাযুক্ত ব্রণ দেখা দিলে ‘পিম্পেল প্যাচ’ ব্যবহার করা ভালো।
তবে ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, দাগ দূর করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কেবল নির্দিষ্ট কাজ করতে পারে। এটাকে ব্রণের চিকিৎসার অংশ হিসেবে ধরে নেওয়া অর্থ হল মূল সমস্যাকে উপেক্ষা করা।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডা. ডেনিস গ্রস স্কিনকেয়ার’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ত্বক বিশেষজ্ঞ ডেনিস গ্রস ‘ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেন, “এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে চাইলে এখনই দাগের চিকিৎসা বন্ধ করতে হবে। দাগের চিকিৎসা করা খারাপ নয়। তবে ব্রণ থাকা মানে ত্বকে সমস্যা আছে। তাই আগে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।”
ত্বকে দাগের চিকিৎসা গ্রহণ করা হলে তা কেবল একটা নির্দিষ্ট লোমকূপকে কেন্দ্র করে করা হয়। এতে বাকি লোমকূপগুলো অবহেলিত হয়। এবং যে কোনো সময় আবদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
নিউ ইয়র্কের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. যোশুয়া জিশনারের কথায়, “মনে করুন ত্বকের তেল নিঃসরণ গ্রন্থিতে হাজার হাজার পাইপ বা নল যুক্ত আছে। যাদের ত্বক ব্রণ প্রবণ তাদের এই নলগুলো বেশিরভাগ সময় কোনো না কোনো ভাবে আবদ্ধ হয়ে থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “আর কোন লোম কুপটা আবদ্ধ হয়ে যাবে সে সম্পর্কে ধারণা করা যায় না, ফলে আবার ব্রণ দেখা দেয়।”
‘স্পট ট্রিটমেন্ট’ বা দাগের জন্য চিকিৎসা বর্তমানের ব্রণের ওপরে কাজ করে। আগের ব্রণ বা ভবিষ্যতে হতে পারে এমন কোনো ব্রণের ওপরে কাজ করে না।
ডা. জেইশনারের মতে, “ব্রণের জন্য সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর চিকিৎসা হল, ত্বকের পাইপগুলো যেন সম্পূর্ণ বন্ধ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।”
ব্রণের জন্য বেঞ্জোয়েল পারক্সাইড বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ‘স্পট-ট্রিটমেন্টের’ জন্য কার্যকর। তবে ভবিষ্যতেও এই সমস্যা এড়াতে ত্বক নিয়মিত পরিচর্যার প্রয়োজন পড়ে।
ডা. গ্রস বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, নিয়মিত ত্বক পরিচর্যার জন্য যখন পুরো মুখে কোনো কিছু ব্যবহার করা হয় তখন সেটা ব্রণ প্রবণ জায়গাতেও কাজ করে।”
এই বিষয়ে ডা. জেইশনার আরও বলেন, “পুরো মুখ পরিচর্যার মানে হল শুধু ব্রণ ওঠা রোধ নয় বরং যে ব্রণগুলো আছে সেগুলোকেও নিরাময় করা হচ্ছে।”
তার মতে, সারা মুখের যত্ন নেওয়া হলে তা বর্তমান ও ভবিষ্যতের ব্রণের সম্ভাবনা কমায়।
ত্বক ব্রণ প্রবণ হলে, দৈনিক ত্বক পরিচর্যায় ব্রণনাশক উপকরণ রাখুন। ত্বকে ব্রণ থাকুক আর না থাকুন এই রুটিন চালিয়ে যেতে হবে।
ত্বক পরিষ্কার রাখতে উন্নত মানের ক্লিঞ্জার ব্যবহার করতে হবে। যা ত্বককে রাখবে জীবাণু মুক্ত।
‘আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড (এএইচএ) এবং ‘বেটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড (বিএইচএ) সমৃদ্ধ মৃদু এক্সফলিয়েটর ব্যবহার করা উচিত। যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ও লোমকূপ উন্মুক্ত রাখে।
রাতে রেটিনল সিরাম ব্যবহার ত্বককে পুনর্গঠনে সহায়তা করে। এই উপাদানগুলো ব্রণ হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করতে পারে।
আরবিসি/০১ জুন/ রোজি