জয়পুরহাট প্রতিনিধি : জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বাড়ইল নলপুকুর গ্রাম থেকে কিডনি পাচার চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে গ্রামবাসী পুলিশে সোপর্দ করেছে।
শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বারইল নলপুকুর গ্রাম থেকে দুই কিডনী ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই দুইজন আক্কেলপুর ও ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের বারইল গ্রামসহ পার্শ্ববতী এলাকায় বেশ কিছুদিন থেকে ঘোরাফেরা করছিল। তারা গ্রামের সহজ সরল মানুষদের প্রতিটি কিডনি ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে, কিডনি ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
দুলু মিয়া চার বছর আগে ঢাকার একটি চক্রের নিকট তার বাম পাশের কিডনি বিক্রি করার কথা বলেছে। দুলু মিয়া বলে দেহের একটি কিডনি বিক্রি করলে কোন সমস্যা হয় না এমন কথা নজমুলকে বলে এবং টাকার বিনিময়ে কিডনি সংগ্রহের প্রস্তাব দেয়। কিডনি চক্রের দুই সদস্য নজমুল ও দুলুমিয়া বারইল গ্রামের গোলাম মোস্তফা ও রুবেলকে এমন প্রস্তাব দিয়ে বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকে।
তারা ওই গ্রামের ডলার মাষ্টারকে বিষয়টি জানায় এবং গ্রামবাসী ওই চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে মামুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীমকে জানায়। তিনি ঘটনাটি ক্ষেতলাল থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে তাদের কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ১৯৯৯ সালের মানবদেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন এর ১০ (১) তৎসহ ৪২০ পেনাল কোড ১৮৬০ প্রতারনার অপরাধে ক্ষেতলাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আটকৃতরা হলেন, জয়পুরহাটে কালাই উপজেলার বফলগাড়ী গ্রামের তমেজ আলীর ছেলে দুলু মিয়া (৬৪) ওরফে ডংকার দীর্ঘদিন যাবৎ ক্ষেতলাল উপজেলার তাউসারা গ্রামে বসবাস করে আসছিল। তার সহযোগী গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে নজমুল(৪৫) ওরফে কেরামত আলী কালাই উপজেলার বফলগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। ক্ষেতলাল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিরেন্দ্র নাথ মন্ডল ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করেন।
আরবিসি/৩০ মে/ রোজি