• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন

নতুন প্রজন্মের জন্য সবুজ ভবিষ্যত গড়ার তাগিদ

Reporter Name / ১১৫ Time View
Update : রবিবার, ৩০ মে, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আরও সবুজ একটি ভবিষ্যত বিনির্মাণে পিফোরজি (পি-৪জি) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতাদের আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি খাদ্য-পানি-জ্বালানিসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আরও বেশি বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক ও সৃজনশীল উদ্যোক্তাকে সম্পৃক্ত করাসহ পি৪জি-কে (পার্টনারিং ফর গ্রীন গ্রোথ এ্যান্ড দ্য গ্লোবাল গোলস-২০৩০) তিনটি পরামর্শ দিয়েছেন।

রবিবার বিকেলে পিফোরজির সিউল সম্মেলনে প্রদত্ত এক ভিডিও বার্তায় দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব পরামর্শ দেন। ‘ইনক্লুসিভ গ্রীন রিকভারি টুওয়ার্ডস কার্বন নিউট্র্যালিটি’ প্রতিপাদ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পিফোরজির দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন।

সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেয়া তিনটি পরামর্শের মধ্যে প্রথমটিতে বলেন, পিফোরজির পাঁচটি মূল ক্ষেত্র- খাদ্য, পানি, জ্বালানি, শহর ও সার্কুলার অর্থনীতিতে আরও বেশি ফিন্যান্সিয়র, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক ও সৃজনশীল উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত করতে এর কর্মভিত্তিক পদ্ধতির বিষয়ে আরও বেশি প্রচার চালানো এবং সেরা কর্মপদ্ধতিগুলোর বিনিময় আরও বাড়াতে হবে।

দ্বিতীয় পরামর্শে শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধি এবং ২০৩০ সালের বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে পুরো সমাজকে নিয়ে এগোনোর পাশাপাশি পুরো বিশ্বকে নিয়ে এগোনোর মনোভাব জরুরী।

আর তৃতীয় পরামর্শে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আরও সবুজ একটি ভবিষ্যত নির্মাণে পিফোরজি সম্মেলনে অংশ নেয়া নেতৃবৃন্দকে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারীতে নানা প্রতিকূলতার সৃষ্টি হলেও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশবান্ধব প্রবৃদ্ধির দিকে বিশ্বকে নিয়ে যাওয়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর সেই লক্ষ্যে জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ স্থানীয়ভাবে অভিযোজন কার্যক্রম জোরদার করাসহ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সেসব বিষয়ও সম্মেলনে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, পানি বাংলাদেশের অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ। পানির যথাযথ ব্যবহার এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ একশ’ বছর মেয়াদী ‘ডেল্টা প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ প্রথম স্বল্পোন্নত দেশ, যারা নিজস্ব সম্পদ দিয়ে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করেছে; অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থায় প্রতিবছর ৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করছে।

পিফোরজির সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্বল্প কার্বন নিঃসরণ করে উন্নয়নের কৌশল অনুসরণ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়ানোর যে পরিকল্পনা তাঁর সরকার নিয়েছে, তার বাস্তবায়ন সম্ভব হলে ২০৪১ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন ৪০ গিগা ওয়াটে পৌঁছাবে।

বৈশ্বিক জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০১৭ সালে পিফোরজি নামে এই বৈশ্বিক উদ্যোগ শুরু হয়। পিফোরজি নেটওয়ার্কে বাংলাদেশ, চিলি, কলম্বিয়া, ডেনমার্ক, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, রিপাবলিক অব কোরিয়া, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভিয়েতনাম- এই ১২টি দেশ আছে। এছাড়া ডব্লিউআরআই, ডব্লিউএএফ, আইএফসি, জিজিজিআই ও সি ৪০ সংগঠন এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে আছে।

আরবিসি/৩০ মে/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category