• বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন

বাঘা থেকে তিন হাজার কেজি আম গেলো ইংল্যান্ডে

Reporter Name / ১৫১ Time View
Update : শনিবার, ২৯ মে, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা : চলতি মৌসুমে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রথম ৩ হাজার কেজি তিহমসাগর আম গেলো ইংল্যান্ডে। গত তিন বছর ধরে এই উপজেলার আম রফতানি হচ্ছে বিশ্বের ৬ টি দেশে। সর্বশেষ শুক্রবার পাঠানো হলো ৩ হাজার কেজি আম।

এরমধ্যে ডিপ ইন্টারন্যাশনাল নিয়েছেন ৬শ কেজি, তাছফিক ইন্টারন্যাশনাল ১ হাজার কেজি, ফারডন ইন্টারন্যাশনাল ৬ শ’ কেজি এবং এনইবিসি অপারেশনের মাধ্য ৪শ কেজি ফ্রেস আম রফতানী করা হয়েছে। প্রথম চালানের এই আমগুলো সরবরাহ করেছেন বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের প্রশিক্ষন প্রাপ্ত লিড ফার্মার কৃষক শফিকুল ইসলাম সানা। করোনা সংক্রমণের মধ্যেও দেশের বাইরে আম রফতানি করতে পারায় উপজেলার অন্যান্য আম চাষিদের মনে দেখা দিয়েছে আশার আলো। দেশের বাইরে আম রফতানি করতে পারায় যারা এ তালিকায় রয়েছেন তাদের অনেকেই স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, প্রতিবারের মত বাঘার সুমিষ্ট ও দেশ বিখ্যাত আম এবারও রফতানি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সসহ রাশিয়াতে পাঠানো হবে এই উপজেলার গোপালভোগ, হিমসাগার, আম্রপালি, ল্যাংড়া এবং ফজলি আম। ইতোমধ্যে সম্পুর্ণ ফরমালিন ও কেমিক্যালমুক্ত এই আম পাঠানোর জন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় কৃষকদের আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় সাংসদের ছোট ভাই সাইফুল আলম বাদল।

উপজেলার কলিকগ্রামের আমচাষি আশরাফুদৌল্লা, বাঘার মুক্তার হোসেন এবং আড়পাড়ার মহাসিন আলী বলেন, আমরা গত তিন বছর থেকে দেশের বাইরে আম পাঠাচ্ছি। এর মধ্যে গতবার ভাল দাম পেয়েছি। তারা বলেন, যদি এ বছর অন্যবারের চেয়ে বেশি পরিমান আম রফতানি করতে পারি তাহলে আগামি বছর থেকে আমের উৎপাদন ও যত্ন দ্বিগুন হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, আম রফতানির জন্য উপজেলার ৫০ জন চাষিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাগানে উৎপাদিত ও ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত আম ঢাকায় (বিএসটিআই ল্যাবে) নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর পরে বিদেশে রফতানি করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, রাজশাহী জেলায় এবার ১৭০০০ হেক্টর আম বাগানের মধ্যে অর্ধেক অর্থাৎ ৮৫০০ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে বাঘা উপজেলায়। এখানকার প্রধান অর্থকারী ফসল আম। এ অঞ্চলের কৃষকরা প্রতি বছর আমি বিক্রি করে আয় করে থাকেন ১৩ থেকে ১৪শ কোটি টাকা।

আরবিসি/২৯ মে/ রোজি

 

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category