• বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ

Reporter Name / ৮৫ Time View
Update : শনিবার, ২৯ মে, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : আজ আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এ বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে।

শনিবার (২৯ মে) সকালে শান্তিরক্ষীদের স্মরণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম এ মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে ‘শান্তিরক্ষী র‌্যালি-২০২১’ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। পরে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের নিকটাত্মীয় ‍ও আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়েছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভিটিসির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।

সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, সংবাদমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশেষ জার্নাল ও জাতীয় দৈনিকগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিশেষ টক-শো প্রচারিত হবে। এছাড়া শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রচারিত হবে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি চ্যানেলে।

দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা শান্তিরক্ষা মিশনে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সকল শান্তিরক্ষীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের তিনি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত এ আদর্শ অনুসরণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে অদ্যাবধি বাংলাদেশী শান্তি রক্ষীরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে যে গৌরব ও মর্যাদা লাভ করেছে, তা আমাদের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য পেশাদারিত্ব, সাহস, বীরত্ব ও দক্ষতারই অর্জিত ফসল।

তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি স্থাপনে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীগণ পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ঐ সকল দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আজ সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশসমূহের অন্যতম বাংলাদেশ। জাতিসংঘ মিশন ও বহুজাতিক বাহিনীতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। এদেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদা সম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। একই সঙ্গে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের দেশের পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারেন, সে জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সকল প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

আরবিসি/২৯ মে/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category