• সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন

জীবন উৎসর্গকারী ৮ বাংলাদেশি পেলেন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পুরস্কার

Reporter Name / ১৫৫ Time View
Update : শুক্রবার, ২৮ মে, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : বিশ্ব শান্তি রক্ষায় জীবন উৎসর্গকারী আট বাংলাদেশিকে ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ দিয়েছে জাতিসংঘ। যা একক দেশ হি‌সে‌বে পাওয়া স‌র্বোচ্চ পুরস্কার।

শুক্রবার (২৮ মে) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হ‌য়ে‌ছে।

এ বছর বিশ্বের ৪৪টি দেশের ১২৯ জন শান্তিরক্ষীকে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য এ পুরস্কার প্রদান ক‌রে‌ছে জা‌তিসংঘ। জাতিসংঘ সদর দফতরে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মেডেল দেওয়া হয়। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস পুরস্কার পাওয়া ৪৪ দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের হাতে নিজ নিজ দেশের মেডেল তুলে দেন।

বাংলাদেশের জীবন উৎসর্গকারী ৮ শান্তিরক্ষী হলেন- মালিতে নিয়োজিত মিনুস্মা মিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল মো. হালিম, কঙ্গোতে নিয়োজিত মনুস্কো মিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সাইফুল ইমাম ভূঁইয়া, সার্জেন্ট মো. জিয়াউর রহমান, সার্জেন্ট এমডি মোবারক হোসেন ও ল্যান্স করপোরাল মো. সাইফুল ইসলাম, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে নিয়োজিত মিনুস্কা মিশনের ল্যান্স করপোরাল মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সার্জেন্ট মো. ইব্রাহীম এবং দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত আনমিস্ মিশনের ওয়াসারম্যান নুরুল আমিন।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই মেডেল গ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এসব মেডেল কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে ব‌লে জানায় মিশন।

পদক প্রদান অনুষ্ঠান উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, আমি জাতিসংঘের পতাকাতলে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবনদানকারী নীল হেলমেটের সব সাহসী পুরুষ ও নারীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করছি এবং তাদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।

রাষ্ট্রদূত ফা‌তিমা ব‌লেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার পবিত্র দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ তার অনেক বীর সেনানীকে হারিয়েছে। কিন্তু এই ত্যাগ জাতিসংঘে দায়িত্ব পালনের কোনো আহ্বানে সাড়া দিতে কখনই আমাদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। শান্তির লক্ষ্যে নিজেদের উৎসর্গ করার দৃঢ় সংকল্পকে আরও জোরদার করেছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বুভুক্ষা ও দুর্দশামুক্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করে শান্তির অনুসন্ধান করলেই কেবল কর্তব্যরত অবস্থায় জীবনদানকারী এই শান্তিরক্ষীদের প্রতি প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন করা হবে।

আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্থায়ী শান্তির পথে : শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য যুব-শক্তিকে বৃদ্ধি করা’। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে মহাসচিব গুতেরেসে বিগত সাত দশকব্যাপী জাতিসংঘের পতাকাতলে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবনদানকারী সামরিক ও বেসামরিক শান্তিরক্ষীদের বিদেহী আত্মার স্মরণে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে অবস্থিত ‘শান্তিরক্ষী মেমোরিয়াল সাইট’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ বর্তমানে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ। জাতিসংঘের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের প্রায় ৭ হাজার শান্তিরক্ষী কর্মরত। এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় বাংলাদেশের ১৫৯ জন শান্তিরক্ষী মৃত্যুবরণ করেছেন।

আরবিসি /২৮ মে/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category