আরবিসি ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় ইয়াস দেশে আঘাত না হানলেও এর প্রভাবে কেটেছে অসহনীয় তাপপ্রবাহ। আভাস রয়েছে ভারী বৃষ্টিপাতের। তবে বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা দু’দিন পর কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের দিকে সরে যাওয়ায় সাগর ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে। তবে পূর্ণিমার কারণে শঙ্কা রয়েই গেছে। সাগরে জোয়ারের উচ্চতা ৬ ফুটের বেশি বেড়ে গিয়ে বাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।
এজন্য এখনও সমুদ্রবন্দরগুলোতে তোলা হয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত। এছাড়া ৪০ থেকে ৮০ কিমি বেগে দেশের অভ্যন্তরে ঝড়ো বা দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নদীবন্দরগুলোতেও দেওয়া হয়েছে দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত। কোথাও কোথাও এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেতও তোলা হয়েছে।
বুধবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানান, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আরও ঘণীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বিকেল ৩ টা নাগাদ ডামরার উত্তর এবং বালাশােরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে। এটি পরবর্তীতে আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে বর্তমানে উপকূলীয় উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের ওপর আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়াে হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমিতে ওঠে যেতে পারে।
শুক্রবারের (২৮ মে) দিকে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পেতে পাবে এবং তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে ফের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।
বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এরই মধ্যে ছয়বার তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে দেশের ওপর দিয়ে। গত ২৫ এপ্রিল বিগত সাত বছরের মধ্যে যশোরে সবচেয়ে বেশি রেকর্ড করা হয়েছে তাপমাত্রা। থার্মোমিটারের পারদ সেদিন ঢাকায় উঠেছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে আর যশোরে উঠেছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। ওই দিন ঢাকার তাপমাত্রাও সাত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছিল।
আরবিসি/২৬ মে/ রোজি