চলনবিল প্রতিনিধি: ‘গাছ পাকা ফল, গাছ পাকা ফল’ হাকডাকে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল মান্নননগর বাজারে আম ও লিচু বিক্রেতা মোয়াজ্জেম হোসেন। মান্নননগরে বাজারে লিচুর সমাহার আর মহিষলুটি বাজারে আমের সমাহার দেখা যায় প্রত্যহ সকালের বাজারে আর বিকালের বাজারে।
ক্রেতারাও দামদর করে কিনছিল। কেউ আবার দেখে অন্য দোকানে ছুটছেন। সোমবার তাড়াশে ঘুরে দেখা যায়, মৌসুমি ফল সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। ঈদের পর থেকেই একটু একটু করে ক্রেতাও বেড়েছে। ফলে চাহিদা বেড়েছে মৌসুমি ফলের।
এ বিষয়ে ফল বিক্রেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, গরম পড়তে শুরু করেছে। আর ফলও পাকতে শুরু করেছে। বাজারে যেমন ফল আসছে, তেমনি ক্রেতাও আছে। তবে দাম একেক জায়গায় একেক রকম।
এদিকে দাম যেমনই হোক পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারাও খুশি মৌসুমি ফলের স্বাদ নিতে পেরে। ক্রেতাদেরও রয়েছে আগ্রহ। বিশেষ করে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ সবই এখন বাজারে বিদ্যমান। ক্রেতারাও তাই বেশ খুশি।
তাড়াশে মান্নাননগর ও মহিলুটি বাজারে দেখা যায়, প্রতিটি পাকা কাঁঠাল ৭০ টাকা থেকে শুরু করে আকার ভেদে ১৫০ টাকা, প্রতিকেজি পাকা আম ৮০ টাকা থেকে জাতভেদে ১২০ টাকা, প্রতি ১০০ পিস লিচু ১৩০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, প্রতিকেজি জাম ৯০ টাকা, প্রতিটি তরমুজ আকার ভেদে ১০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে আছে জামরুল আর তালশাসও।
কথা হয় ফলের ক্রেতা মুন্না হোসেনের সঙ্গে। কাঁঠাল আর তরমুজ কেনার পর ঘুরছিলেন লিচুর বাজারে। তিনি বলেন, এবার সব ফল যেন একসঙ্গেই এসেছে। অন্যবার প্রতিটি ফল কিছু সময় পরপর এলেও এবার আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ সবই এখন বাজারে। এটা বেশ ভালো।
তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জ তাড়াশে অন্য যেকোনো জায়গার তুলনায় মহিলুটি বাজারে দাম বেশ কম। তাই বেশকিছু ফল কিনেছি, আরও কিছু কেনার ইচ্ছে আছে। আর আশা করি সামনে আরও সরবরাহ বাড়বে এবং তখন ফলের দাম আরও কমবে।
এদিকে মৌসুমি ফলের দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে। ফল বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের কারণে পণ্য পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছে ফলের। তারপরও দাম কমেছে এবং সামনে আরও কমবে। ঈদের পর থেকে ক্রমেই ফলের সরবরাহ বাড়ছে। এছাড়াও দামও আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে।
আরবিসি/২৪ মে/ রোজি