বাঘা প্রতিনিধি: এবারও দেশের বাইরে রপ্তানী করা হবে দেশ বিখ্যাত বাঘার আম। এমটি বার্তা দিলেন স্থানীয় সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ছোট ভাই সাইফুল আলম বাদল। তিনি রবিবার দুপুরে বাঘা উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে আসেন এবং কৃষকসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে এ বার্তা পৌঁছে দেন।
তিনি বলেন, প্রতিবারের ন্যায় বাঘার সু-মিষ্ট আম এবারও দশের বাইরে রপ্তানী করা হবে। বিশেষ করে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সসহ রাশিয়াতে পাঠানো হবে এ উপজেলার সনামধন্য গোপাল ভোগ, হিমসাগার, আম্রপালি, ল্যাংড়া এবং ফজলি আম। সম্পুর্ণ ফরমালিন ও কেমিক্যাল মুক্ত এ আম পাঠানোর জন্য রাজনৈতিক নেতারাসহ স্থানীয় কৃষকদের আহবান জানান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ্ সুলতান (জনি)।
কৃষি কর্মকর্তা বলেন, গত তিনবছর পূর্বে বিদেশে আম রফতানির জন্য অত্র উপজেলায় বড়-বড় বাগান মালিক (৫০) জনকে উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদনের লক্ষে প্রশিক্ষণসহ সনদপত্র দেয়া হয়। সে লক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের একটি টিম বাগান পরিদর্শন করে বাঘা উপজেলার আম রপ্তানি যোগ্য হিসেবে বিবেচিত করেন। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানি শুরু করা হয়। যা এবারও চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, রাস্তার দুই ধারে সারি-সারি আম বাগান আর সুস্বাদু-বাহারি জাতের আমের কথা উঠলেই চলে আসে রাজশাহী অঞ্চলের নাম। এ জেলাকে আমের জন্য বিখ্যাত বলা হলেও মূলত আম প্রধান অঞ্চল হিসাবে খ্যাত জেলার বাঘা-চারঘাট উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী চাপাই নববঞ্জকে ঘিরে।
এ দিক থেকে রাজশাহী জেলাতে ১৭ হাজার হেক্টর আম বাগানের মধ্যে অর্ধেক অর্থাৎ ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে বাঘা উপজেলায়। এখানকার প্রধান অর্থকারী ফসল আম। এ অঞ্চলের কৃষকরা প্রতি বছর আমি বিক্রি করে আয় করে থাকেন ১৩ থেকে ১৪ শ কোটি টাকা।
এদিকে উপজেলার সফল আম চাষী কলিকগ্রামের আশরাফুদৌল্লা, বাঘার মুক্তার হোসেন এবং আড়পাড়ার মহাসিন আলীসহ অনেকেই বলেন, যদি গত বারের ন্যায় এবারও তারা আম রপ্তানী করে সফল হন তাহলে আগামি বছর থেকে আমের উৎপাদন ও যত্ন দ্বিগুন হবে।
আরবিসি/২৪ মে/ রোজি