স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘি নতুন রূপ পাচ্ছে। সোনাদিঘীকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্যবর্ধন কাজ চলমান রয়েছে। দীঘির সংস্কার কাজ শেষ হলে সাহেববাজার এলাকা ব্যবসায়ীক কেন্দ্রের পাশাপাশি বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেও নগরবাসীর কাছে গুরুত্ব পাবে।
সূত্রমতে, সোনাদীঘির হারানোর ঐতিহ্য ফিরে আনতে ২০০৯ সালে প্রথম মেয়াদে উদ্যোগ নেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) এর আওতায় ‘এনা প্রপার্টিজ’ নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে ১৬ তলাবিশিষ্ট ‘সিটি সেন্টার’ নির্মাণ ও সোনাদীঘিকে সাজানোর চুক্তি করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রথম মেয়াদের সময়কালে (২০০৮-১৩) এর নির্মাণকাজ এগোলেও পরবর্তী ৫ বছর কাজ বন্ধ হয়ে থাকে। ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর সিটি সেন্টার ও সোনাদিঘীকে সাজানোর কাজে গতি ফেরান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা, মসজিদ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সোনাদীঘিকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। বৈধ ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সোনাদীঘি মসজিদকে সিটি সেন্টারের স্থানান্তর করা হয়েছে। এরপর সোনাদিঘি মার্কেট ভেঙে সোনাদীঘি উন্মুক্ত করা হয়েছে। এখন চলছে সোনাদীঘি পাড় নির্মাণ মসজিদ নির্মাণ, দীঘির তলদেশের কাদামাটি উত্তোলন কাজসহ উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। ‘সিটি সেন্টারেরও নির্মাণ কাজ চলমান আছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে সিটি সেন্টার হবে অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র আর সোনাদীঘি হবে দৃষ্টিনন্দন বিনোদনকেন্দ্র। সোনাদীঘি কেন্দ্র করে ওই এলাকার পুরো চিত্রই পাল্টে যাবে। দর্শনার্থীদের পাশাপাশি পুরো বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরাও এর সুফল ভোগ করবেন। এই দিঘীর চারপাশে পর্যাপ্ত বসার জায়গা রাখা হবে। পরিবার নিয়ে মানুষ সেখানে বসবে। উপভোগ করবে স্বচ্ছ পানির জলাধার। রাতে আলোকায়ন থাকবে। থাকবে ফোয়ারা।
এদিকে বুধবার বিকেলে সোনাদীঘি উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় সিটি মেয়র কাজের অগ্রগতি সহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং দ্রুত গতিতে কাজ করার তাগিদ দেন। এদিন বিকেলে মহানগরীর সাহেব বাজারের মুড়িপট্টিতে বহুতল ভবন ‘বৈশাখী বাজার’ নির্মাণ কাজের অগ্রগতিও পরিদর্শন করেন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র ‘বৈশাখী বাজার’ এর বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং কাজের অগ্রগতি সহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
পরিদর্শনকালে রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ সরকার টেকন, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও যান্ত্রিক) রেয়াজাত হোসেন রিটু, সহকারী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান জীবন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মীর শাহরিয়ার সুলতান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মোঃ শামসুজ্জামান আওয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে দুপুরে নগর ভবনে মেয়র দপ্তরকক্ষে পিপিপি এর আওতায় রাসিকের নির্মাণাধীন স্বপ্নচূড়া প্লাজা, বৈশাখী মার্কেট, সিটি সেন্টার ও দারুচিনি প্লাজার নির্মাণ কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে সভা করেন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সভায় কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরবিসি/২০ মে/ রোজি