স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময়সীমার আগেই রাজশাহীতে দেখা মিলেছে গোপালভোগের। বাজারে গুটিজাতের আম ক্রয়-বিক্রয় চললে ২০ মের (বৃহস্পতিবার) আগে গোপালভোগ বিক্রিতে নিষেধ ছিল। অবশেষে নির্ধারিত দিনেই বাজারে উকি দিলো গোপালভোগ।
একাধিক আম চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অতিবৃষ্টি ও গরমে গোপালভোগ আম সময়ের আগেই পেকে গেছে। প্রশাসনকে অবহিত করে গাছ থেকে আম নামিয়ে বাজারজাতকরণ করা হচ্ছে। গোপালভোগ আম বাজারে আসায় বেচাকেনাও বেড়েছে বলে জানান আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, ভোক্তাদের কাছে পরিপক্ব ও ফরমালিনমুক্ত আম সরবরাহ নিশ্চিত করতে সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। নির্দেশনা অনুযায়ী ২০ মে থেকে গোপালভোগ আম পাড়তে পারবেন চাষিরা। এতে গুটি আমের পাশাপাশি কাল থেকেই বাজারে মিলবে গোপালভোগ।
তবে আবহাওয়াজনিত কারণে কিছু কিছু গাছে আম তাড়াতাাড়ি পেকে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণের মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকার আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা নামাতে পারবেন।
এছাড়া আগামী ২৫ মে থেকে লক্ষণভোগ, লখনা ও রাণীপছন্দ আম পাড়া যাবে। অন্যদিকে হিমসাগর, ক্ষিরসাপাত জাতের আম আরও তিন দিন পর (২৮ মে) থেকে পাড়তে পারবেন। ল্যাংড়া নামানো যাবে ৬ জুন থেকে। ১৫ জুন থেকে নামবে আম্রপালি ও ফজলি আম। আর মৌসুমের শেষে ১০ জুলাই নামতে শুরু করবে আশ্বিনা ও বারি আম-৪। এ ছাড়া রঙিন আম খ্যাত বারি আম-১৪ নামবে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের দিকে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল বলেন, নিরাপদ ও বিষমুক্ত আম উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন এবং ভোক্তা পর্যায়ে বিপণনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে পৃথক টিক কাজ করছে। জনসচেতনতা সৃষ্টি ছাড়াও বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেবেন তারা।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন বলেন, এবার খরায় আমের গুটি ঝরে গেছে। এছাড়া এখন কালবৈশাখীর মৌসুম। কিছু পরিপক্ব আমও ঝরে গেছে। তবুও এবার আমের ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে।
আরবিসি/২০ মে/ রোজি