স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পুঠিয়ায় কৌশলে আবাসিক হোটেলে ডেকে এনে কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে প্রেমিক। পরে ওই প্রেমিকাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার পথে আশেপাশের লোকজন তাকে আটক করেছে। পরে ওই যুগলকে পুলিশেও দেওয়া হয়। ভুক্তভোগির পরিবারের অভিযোগ আটকের প্রায় একদিন পার হয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ মামলা নিচ্ছেন না।
শনিবার বিকেলে উপজেলার বেলপুকুর এলাকায় তাদের আটক করা হয়। পরে বেলপুকুর থানা পুলিশের মাধ্যমে তাদের পুঠিয়া থানায় হন্তান্তর করা হয়। আটককৃত প্রেমিকের নাম সুনিল কুমার (২২)। সে জামালপুর জেলার সদর থানার বজরামপুর এলাকার হরিজন পল্লীর বাসিন্দা। ভুক্তভোগী প্রেমিকাও (১৮) একই পল্লীর মেয়ে।
ভুক্তভোগি ওই প্রেমিকা বলেন, ঈদের দিন তারা রাজশাহী মহানগর এলাকায় এক আত্মীয়র বাড়ি বেড়াতে আসছিল। পথে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে অবস্থিত একটি আবাসিক হোটেলে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাত যাপন করে। ওই রাতে সুনিল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে জানায় ভুক্তভোগি। তার সঙ্গে প্রতারণা ও ধর্ষণ করায় এর সঠিক বিচার দাবি করে সে।
পরেরদিন শনিবার দুপুরে সুনিল কৌশলে তাকে হোটেলেই ফেলে রেখে পালানোর চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে সে পিছু নিয়ে সুনিলকে বেলপুকুর এলাকায় গিয়ে ধরে ফেলে।
ওই কিশোরীর পরিবারিক সূত্রে জানাগেছে, কৌশলে সুনিল ওই তরুণীকে নিয়ে পালিয়ে এসেছে। এরপর একটি হোটেলে ওঠে। সেখানে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। পরের দিন সকালে সে তরুণীকে ফেলে রাজশাহী মহানগরের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ওই ভুক্তভোগি তাকে বেলপুকুর ধরে ফেলে। সেখানে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ শুরু হয়। বিষয়টি ওই এলাকার লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে দেয়।
এ ব্যাপারে বেলপুকুর থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনা যেহেতু পুঠিয়া থানা এলাকায় তাই তাদের স্থানীয় লোকজনদের নিকট থেকে উদ্ধার করে ওই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রেমিক যুগলদের গোপনে বিয়ে হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আর উভয় পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরবিসি/১৬ মে/ রোজি