• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন

মধুমাসের শুরুতে রাজশাহীর বাজারে এলো আম

Reporter Name / ১১৭ Time View
Update : রবিবার, ১৬ মে, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : স্থানীয় প্রশাসনের বেধে দেওয়া সময়ে অনুযায়ী মধূমাস জৈষ্ট্যের শুরুর দিন শনিবার (১৫ মে) রাজশাহীতে আম পাড়া শুরু হয়েছে। তবে, ঈদের ছুটির আমেজ কাটিয়ে আমের বাজার জমে উঠতে এখনো আরও দুই সপ্তাহ লাগবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তারা জানান, কম বৃষ্টিপাত ও খরা পরিস্থিতির কারণে অল্প কিছু আম আগেই পেকে গেছে। ফলে ইতোমধ্যে অল্প পরিমাণ আম বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে, বিভিন্ন জেলা থেকে আমের ক্রেতারা এখনো রাজশাহী আসা শুরু করেননি। আম পরিবহনের জন্যে শ্রমিকরাও এখনো কাজ শুরু করেননি। এসব কারণে এক থেকে দুই সপ্তাহের আগে পুরোদমে আমের বাজার জমে ওঠার সম্ভাবনা কম।
রাজশাহীর সব চেয়ে বড় আমের মোকাম পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজারের ফল ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘লিচুর বাজারই তো সবে শুরু হলো, এখনই আম কিসের? সাধারণত লিচু শেষ হওয়ার কিছু আগে বাজারে আম উঠতে শুরু করে। সেই লিচু কেবল বাজারে আসতে শুরু করেছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আমের বাজার বসে রাজশাহীর বানেশ্বরে। সেখানে প্রথমদিন শনিবার ছিল প্রায় আমশূন্য। রবিার সকাল থেকে কিছু আম এসেছে। পাশাপাশি অল্প কয়েকজন ফল ব্যবসায়ী লিচুর পসরা সাজিয়ে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের দুই ধারে বসেছিলেন। রবিবার দুপুরে সেখানে সীমিত আম বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে, বাজারের এক পাশে দেখা গেছে, কিছু যুবক ঝড়ে পড়া কাঁচা আম বাজারে নিয়ে এসেছেন বিক্রি করতে। ঝড়ে পড়া আম বিক্রি হচ্ছে তিনশ টাকা মণ দরে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আমের ব্যবসা জমে উঠলে যেখানে প্রতিদিন শত শত আমচাষি রিকশা বা ভ্যানে টনকে টন আম বোঝাই করে নিয়ে আসেন বানেশ্বর বাজারে। সেখানে রবিবার অল্প কয়েকজন আমচাষি অল্প পরিমাণ আম বাজারে এনেছিলেন সকালের দিকে।
তারা বলেন, সংগ্রহ করা আমগুলো বিভিন্ন আড়তে প্যাকেট করে রাখা হয়েছে। গাড়ি চলাচল শুরু হলে সেগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে।

গত ৬ মে রাজশাহী জেলা প্রশাসন, আম বিশেষজ্ঞ, চাষি ও ব্যবসায়ীদের এক সভায় ১৫ মে থেকে গুটি জাতের আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করা হয়। গোপালভোগ জাতের আম ২০ মে, লক্ষণভোগ বা লখনা ও রানিপছন্দ ২৫ মে এবং হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত ২৮ মে থেকে বাজারজাত করা যাবে। এ ছাড়া, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে ফজলি ও আম্রপালি এবং ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি আম-৪ নামানো যাবে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন বলেন, ‘গুটি আম সবার আগে পাকে। আঁশযুক্ত এই আমের স্বাদ তুলনামূলক কম, তাই খুব জনপ্রিয় হয়নি। জনপ্রিয় গোপালভোগ, লখনা, ক্ষীরশাপাত, ল্যাংড়া ও ফজলি জাতগুলো দেরিতে পাকে। তবে, খরার কারণে এ বছর আম পাকতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। তাপদাহের কারণে আমের আকারে ও ফলনেও প্রভাব পড়তে পারে।’

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আম হয়েছে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হেক্টর প্রতি ১১ দশমিক ৯ টন ধরে মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দাড়ায় দুই লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন।

আরবিসি/১৬ মে/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category