আরবিসি ডেস্ক : সরকারের অনুমতি পেলেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শুক্রবার রাতে ঢাকার বসুন্ধরায় এভার কেয়ার হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে ইতোমধ্যে তার পরিবার আবেদন করেছে। সরকার তা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী।
ডা. জাহিদ বলেন, “এখন এটি সরকারের বিষয়, তারা কবে নাগাদ উনাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেবে। যখন অনুমতি আসবে, তখন হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড এই ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।”
বিমানে ভ্রমণের মতো শারীরিক অবস্থা বিএনপি চেয়ারপারসনের আছে কি না- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সরকারের অনুমতির পরেই এ বিষয়ে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।”
এভার কেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তদারক করছেন।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ডা. জাহিদ বলেন, “আজকেও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা উনাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। যে চিকিৎসা গতদিনও ছিল, সেই চিকিৎসাই বোর্ড অব্যাহত রেখেছেন।”
দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যাওয়ার পর গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে পরিবারের আবেদনে সরকার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির শর্ত দেওয়া হয়েছিল, মুক্ত থাকার সময়ে তাকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
এর মধ্যে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর গত ২৭ এপ্রিল চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে পাঁচ দিন পর তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে বুধবার সরকারের কাছে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার জানান, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্যে বিদেশে নিতে পরিবারের আবেদন পর্যালোচনার পর দ্রুত সময়ে মতামত দিয়ে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
আরবিসি/০৭ মে/ রোজি