• বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

উত্তেজনা-হট্টগোলের পর রাবিতে সিন্ডিকেট সভা স্থগিত

Reporter Name / ১৩০ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিন্ডিকেট সভা ঘিরে শিক্ষক ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম সিন্ডিকেট সভা স্থগিতের ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সিন্ডিকেট সভায় ‘অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে’ এমন অভিযোগে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা বাধা দেন। এসময় শিক্ষকদের ‘গুলি করার’ হুমকিও দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বাসভবনে সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়। উপাচার্য সিন্ডিকেট সভায় পছন্দের প্রার্থীদের অ্যাডহকে চাকরি দিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন এমন অভিযোগে সভা বন্ধের দাবিতে বাসভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দেন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকরা। সেখানে সকাল থেকে চাকরিপ্রত্যাশী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা অবস্থান নেন।

শিক্ষকরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে প্রবেশ করতে চাইলে চাকরিপ্রত্যাশীরা বাধা দেন। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে শিক্ষকরা জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের নেতারা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করেন। এসময় আকাশ নামে এক বহিরাগত ও চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষকদের গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। আকাশের বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচন্ডী এলাকায় বলে জানা যায়।

দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের মধ্যে অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহিরাগতদের নিয়ে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এই বহিরাগতরা লাঠিসোটা নিয়ে এসেছে। উপাচার্য এদের নিয়ে এসেছেন। সব অনিয়ম দুর্নীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্য হালাল করতে তিনি উঠে পড়ে লেগেছেন। মেয়াদ শেষ হবার ঠিক দুইদিন আগে সিন্ডিকেট সভায় তিনি আরও অনিয়ম করার পাঁয়তারা করছেন।

তিনি আরও বলেন, উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাসভবনে প্রবেশ করতে চাইলে শিক্ষকদের গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তার মানে তাদের কাছে অস্ত্র আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে বহিরাগতরা হস্তক্ষেপ কেন করবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকতে পারে। কিন্তু উপাচার্য বহিরাগত পেটোয়া বাহিনী নিয়ে এসেছেন।

শিক্ষকদের গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি বড় ধরনের অপরাধ। তবে এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

আরবিসি/০৪ মে/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category