• রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন

রিজার্ভ ছাড়াল ৪৫ বিলিয়ন ডলার

Reporter Name / ১২২ Time View
Update : সোমবার, ৩ মে, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : করোনা মহামারির মধ্যেও রেকর্ড সংখ্যক বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে দেশে। সোমবার (৩ মে) দিনশেষে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ রিজার্ভ দিয়ে আগামী ১২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

এর আগে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৪.০২ বিলিয়ন বা চার হাজার ৪০২ কোটি ডলার। আর ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার, ১৫ ডিসেম্বর ৪২ বিলিয়ন এবং ২৮ অক্টোবর রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়।

আর সদ্য সমাপ্ত এপ্রিল মাসে ২০৬ কোটি ৭০ লাখ (২.০৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত বছরের (২০২০ সাল) এপ্রিলের চেয় ৮৯ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। গত বছরের এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ৬০ হাজার।

দেশের ইতিহাসে এক মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে এত বেশি প্রবৃদ্ধি এর আগে কখনই হয়নি। চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে দেশে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর আসন্ন। ঈদের আগে প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠান। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। আত্মীয়-স্বজনরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ উদযাপন করতে পারে এজন্য প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন আর তাদের রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই রিজার্ভ বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরের ১০ মাসে রেমিট্যান্স দুই হাজার কোটি (২০ বিলিয়ন) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার।

২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী এক লাখ টাকা দেশে পাঠালে এর সঙ্গে আরও দুই হাজার টাকা যোগ করে মোট এক লাখ দুই টাকা পাচ্ছেন তারা। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান প্রণোদনার সঙ্গে বাড়তি এক শতাংশ দেয়ার অফার দিচ্ছে। এতে করে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন বিদেশে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসছে। রফতানিও বেড়েছে। এছাড়া আমদানি ব্যয়ের চাপ কম, দাতা সংস্থা বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ ও জাইকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ও বিশ্ব সংস্থার অনুদানের কারণে রিজার্ভ বেড়েছে। তবে সামনে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধ করলে রিজার্ভ আবার কিছুটা কমে যাবে।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ইরান ও মালদ্বীপ- এ নয়টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এ দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে এর বিল দুই মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করে থাকে।

আরবিসি/০৩ মে/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category