• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৭ অপরাহ্ন

প্রাথমিকে ক্লাস্টারভিত্তিক অনলাইন পাঠদানের পরিকল্পনা

Reporter Name / ১৫৫ Time View
Update : শনিবার, ১ মে, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস্টারভিত্তিক অনলাইন পাঠদানের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

প্রতি ক্লাসে ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ‘গুগল মিট’র মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসের পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে অনলাইন ক্লাস পরিচালনা প্রসঙ্গে গত ২২ এপ্রিল জুম মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর ২৯ এপ্রিল সেই নির্দেশনা বাস্তনবায়নের জন্য মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।

অনলাইন ক্লাসের কন্টেন্টসমূহ কেন্দ্রীয়ভাবে সরবরাহ করা হবে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে প্রদত্ত একই পাঠ পরিকল্পনা অনুসরণ করে একযােগে সারাদেশে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম পর্বিচালিত হবে।

করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাঠের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সংসদ টিভি এবং বেতারের মাধ্যমে পাঠদানের পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীরর মুহম্মদ মনসুরুল আলম স্বাক্ষরিত নির্দেশনা সব বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, গুগল মিট অনলাইন ক্লাসের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হবে। প্রতিটি ক্লাস্টারে ১টি করে আইসিটি পুল গঠন করতে হবে এবং এতে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারদের নেতৃত্বে ক্লাস্টারের অন্তর্গত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা থাকবেন। যারা ইতোমধ্যে গুগল মিটে কাজ করেছেন। কোনো ক্লাস্টারে কোনো শিক্ষক গুগল মিটের ওপর ওরিয়েন্টেড না হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষককে একদিনের ওরিয়েন্টেশন দিতে হবে। তবে, আইসিটি পুলের সদস্যরা ক্লাস্টারের যত বেশি সংখ্যক সন্তুব শিক্ষকদেরকে একদিনের ওরিয়েন্টেশন দেবেন। আইসিটি পুলের সদস্যরা এবং ইতোমধ্যে ওরিয়েন্টেড শিক্ষকরা সব শিক্ষার্থী ও প্রয়ােজনে তাদের অভিভাবককে যাদের স্মার্ট ডিভাইস আছে তাদেরকে গুগল মিটে ওরিয়েন্টেভ করবেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট, পিটিআই ইন্সট্রাক্টর (কম্পিউটার সাইন্স) উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ইউআরসি’র ইন্সট্রাক্টরদের নিয়ে জেলা পর্যায়ে একটি কমিটি থাকবে যারা ক্লাস্টার পর্যায়ে অনলাইন ক্লাশ পরিচালনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। বিভাগীয় উপ-পরিচালক তার বিভাগের সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।

এক্ষেত্রে ডাটা সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ড থেকে নির্বাহ করতে হবে। বর্তমানে দেশের সব বিদ্যালয়ে (যেখানে ইন্টারনেট সুবিধা আছে) ডাটা সরবরাহের জনা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্বাচন ও সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন ৪জি ডাটা সরবরাহ নিশ্চিতকরণের কাজ চলছে। এটি চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত অন্তর্র্বতীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইন পাঠদানকারী শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ড থেকে নীতিমালা অনুযায়ী ডাটা সংগ্রহ করবেন।

পিটিআই ইন্সট্রাক্টর (কম্পিউটার সায়েন্স) তার জেলার ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবেন। ক্লাস্টারের আইসিটি পুল সদস্য প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যােগাযােগ করবেন বলে জানানো হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, কন্টেন্টসমূহ কেন্দ্রীয়ভাবে সরবরাহ করা হবে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে প্রদত্ত একই পাঠ পরিকল্পনা অনুসরণ করে একযােগে সারাদেশে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম পর্বিচালিত হবে।

প্রতিটি ক্লাস্টারে যেসব শিক্ষকদের গুগল মিটের ওপর ওরিয়েন্টেশন দরকার সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাদের তালিকা করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সুপারিনটেনডেন্ট কাছে পাঠাবেন এবং প্রতি দিন ১টি করে ব্যাচের গুগল মিটের ওপর ওরিয়েন্টেশন দেবেন। ইন্সট্রাক্টর (কম্পিউটার সায়েন্স) এই ওরিয়েন্টেশনের দায়িত্বে থাকবেন। অধিদপ্তর হতে আইএমডি এবং মাঠপর্যায় থেকে ইন্সট্রাক্টররা (কম্পিউটার সায়েন্স) এ বিষয়ে সার্বিক সহযােগিতা দেবেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর ও সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে এ কার্যক্রম সার্বিক বাস্তবায়ন ও তদারকি করবেন।

এতে আরও বলা হয়, অনলাইন পাঠদান প্রাথমিকভাবে ক্লাস্টারভিত্তিক হবে। তবে, একই ক্লাস্টারে যদি ১টি ক্লাসে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩০ জনের অধিক হয়। শিক্ষার্থী সংখ্যা অনুযায়ী একাধিক ক্লাসের আয়ােজন করা যাবে। কিংবা অন্য ক্লাস্টারের সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে।

অনলাইন ক্লাসের সময়সূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতার ও কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে চলমান ‌’ঘরে বসে শিখি’ পাঠ সম্প্রচারের সময়টুকু বাদ দিয়ে অনলাইন পাঠদানের সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় সব শিক্ষার্থীদের শিক্ষক প্রতি ভাগ করে দেবেন বা নেবেন। শিক্ষকরা প্রতিজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে মােবাইল ফোনে নিয়মিতভাবে যােগাযােগ রক্ষা করে শিক্ষার্থীর পাঠ অগ্রগতির খোঁজখবর নেবেন, সংশ্লিষ্ট অনলাইন পাঠদানকারী শিক্ষকের কাছে মূল্যায়ন প্রতিবেদন সংগ্রহ এবং আবশ্যিকভাবে রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন।

আরবিসি/০১ মে/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category