স্টাফ রিপোর্টার : মহান মে দিবস আজ। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। শ্রমিক অধিকারের এ দিবসটি এমন সময় পালিত হতে যাচ্ছে যখন বাংলাদেশসহ বিশ্বের লাখ লাখ শ্রমিকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। করোনার প্রভাবে কলকারখানা ও উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এর প্রভাবে দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে শ্রমিকদের সামনে এখন মানবেতর জীবন যাপনের হাতছানি।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো মে দিবসটি যথাযথভাবে পালিত হয়ে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে দিবসটি পালনে এবার নেই বিশেষ কোন কর্মসূচী আলোচনা সভা ও র্যালি। অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে পালিত হতে যাচ্ছে দিবসটি। এদিকে মহান মে দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের রাজপথে যে আন্দোলন হয়েছিল তারই ১৩৫তম বার্ষিকী আজ। আজকের এই দিন এলেই শ্রমিকের অতীত ইতিহাসের কথা সামনে চলে আসে। চলে আসে অমানবিক অত্যাচার আর নির্যাতনের ইতিহাস। এই আন্দোলনের ফলেই শ্রমিকরা পেয়েছে তাদের ৮ ঘণ্টা শ্রমের অধিকার।
করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত লাখো মানুষ। মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বন্ধ রাখা হয়েছে বহু দেশের অর্থনীতি। ফলে চাকরির ওপর তৈরি হয়েছে মারাত্মক ঝুঁকি। আইএলও’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সেই ঝুঁকির চিত্রই উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জোরালো সংগ্রামের শপথ নেয়ার দিন এই মে দিবস। শুধু অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন নয়, তাদের আন্দোলন সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস এই দিন। যাদের ঘামের বিনিময়ে সচল রয়েছে অর্থনীতির চাকা সেই শ্রমিকদের শোষণ বঞ্চনার অবসান ঘটার স্বপ্ন দেখার দিনও বটে।
শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার এই দিন এমনি আসেনি। দিনটি প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে রক্তঝরা ইতিহাস। তাই ইতিহাসের পাতায় এর গুরুত্ব অপরিসীম। ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৮৯০ সাল থেকে ১ মে বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে ‘মে দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’।
মে মাসের প্রথম দিনটি পৃথিবীর অনেক দেশে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি মে দিবস নামেও পরিচিত। বেশ কিছু দেশে মে দিবসকে ‘লেবার ডে’ হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশে মে দিবস নামেই পালিত হয়ে আসছে।
আরবিসি/০১ মে/ রোজি