• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রাজশাহীতে লাঞ্ছিতের পর ১২ ঘন্টা মেসে অবরুদ্ধ ছাত্রীরা, গ্রেপ্তার ৩ গভীর রাতে রাজশাহী সীমান্তে বিএসএফের দফায় দফায় গু’লি বর্ষণ, জনমনে আতঙ্ক রাজশাহীর বাগমারায় তেলের ট্রাক বিস্ফোরণে পুড়লো ৪শ ব্যারেল তেল, ৮ দোকান রাবির ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ৩৩ জনের নানা মেয়াদে শাস্তি রাজপাড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন আরএমপি পুলিশ কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক পাকিস্তানি চিনি, আলুসহ শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে এলো সেই জাহাজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন রাজশাহীর চারঘাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ সার সঙ্কটে রাজশাহীতে ব্যাহত হচ্ছে আলুচাষ, দামও অতিরিক্ত

ঈদের বাজারে আসছে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট

Reporter Name / ২০৬ Time View
Update : শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : মহামারী করোনার সংক্রমণ রোধে আসন্ন রোজার ঈদেও সর্বসাধারণের মাঝে নতুন ও খুচরা টাকা বিনিময়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না। তবে রোজা ও ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটায় গ্রাহকদের বাড়তি চাহিদার কথা বিবেচনায় এবার নতুন-পুরনো মিলে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। এর মধ্যে ছোট-বড় মূল্যমান মিলে একেবারে নতুন নোট রয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। লকডাউন শুরুর আগে থেকেই এই টাকা বাজারে ছাড়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। লকডাউন দেয়ার আগে থেকেই নতুন টাকা বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ব্যাংকের যারা গ্রাহক, তারা লেনদেনের সময় নতুন টাকা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এ ছাড়া এটিএম বুথেও মিলছে নতুন টাকা। এদিকে ঈদের আগে নগদ টাকার চাহিদা বাড়তে শুরু করায় আন্তঃব্যাংক কলমানি বাজারে লেনদেনও বাড়ছে।

ঈদ সালামিতে নতুন টাকা পেতে পছন্দ করে ছোট-বড় সবাই। এর পাশাপাশি বকশিশ, ফিতরা কিংবা দান-খয়রাতেও অনেকে নতুন টাকা সংগ্রহ করে। আবার ঈদের আগের মাসের বেতন ও বোনাসের টাকা নতুন নোটে পাওয়ার আশা করেন চাকরিজীবীরা। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষে বাড়তি কেনাকাটায় বাজারে নগদ টাকার চাহিদা বাড়ে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই প্রতিবছর দুই ঈদে নতুন টাকা বাজারে ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে করোনার কারণে গত বছরের রোজা ও কোরবানির ঈদেও সর্বসাধারণের মাঝে নতুন টাকা বিনিময় বন্ধ রেখেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি বেশ ভাল আছে। এবার নতুন-পুরনো মিলে ৩৫ হাজার কোটি টাকা প্রস্তুতি রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকাই নতুন নোট। বাকি টাকা ঈদের আগেই চাহিদা অনুযায়ী বাজারে ছাড়া হবে।’ বিশেষ ব্যবস্থায় এবার নতুন টাকা জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করা হবে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কোন ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তে যাব না। বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য পুরো জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা আমরা চাই না। তাই যা হবে ব্যাংকের মাধ্যমেই করা হবে।’

জানা যায়, দ্বিতীয় দফার করোনার সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম ৯ দিন সরকারী বিধি-নিষেধের পর ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে টানা লকডাউন চলছে। দেশ আবার লকডাউনে যাচ্ছে- এমন খবরে ওই সময় নগদ টাকার চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছিল এবং আকস্মিকভাবে অনেক টাকা ব্যাংকের বাইরে তথা জনগণের হাতে চলে যায়। যার কারণে ঈদের প্রস্তুতি হিসেবে রাখা নতুন টাকা ওই সময় থেকেই বাজারে ছাড়তে বাধ্য হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন পর্যন্ত হিসাবে ১৫-২০ হাজার কোটি টাকা বাজারে চলে গেছে। ঈদের আগে নগদ টাকার চাহিদা আরও বাড়বে। ফলে প্রস্তুতি হিসেবে রাখা বাকি সব টাকাই ঈদের আগেই বাজারে ছাড়তে হবে।

জানা গেছে, সারা বছর ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ বিভিন্ন মূল্যমানের নোট প্রয়োজন হয়। এর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রয়োজন হয় দুই ঈদে। তবে এবার করোনার সঙ্কটের কারণে এবার নগদ টাকার চাহিদা বেশি হচ্ছে। ঈদের আগে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন টাকা বাজারে এলে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়বে কিনা, জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা বলেন, সে রকম কোন চাপ পড়বে না। কারণ ব্যাংকগুলো ট্রেজারি বিল বন্ড অকশন করে বা বন্ড বিক্রি করে এই টাকা নেবে। তা ছাড়া এই টাকা খুবই শর্টটাইমের। ১৫ দিন পরেই বাংলাদেশ ব্যাংক তুলে নেবে। যার কারণে এটার খুব বড় ধরনের প্রভাব নেই।

এদিকে লকডাউনের কারণে এ মাসের শুরু থেকেই ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার চাপ বেড়েছে। মাঝখানে কয়েক দিন সেই চাপ কিছুটা কমার পর ঈদের কারণে আবার বাড়তে শুরু করেছে। ফলে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে সঙ্কটে পড়া ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংক কলমানি বাজার থেকে অর্থ ধার করছে। এতে তিনদিন ধরে এই বাজারে লেনদেন আবার বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার আন্তঃব্যাংক কলমানি বাজারে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার মতো লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবস বুধবার যার পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। তার আগের কার্যদিবস মঙ্গলবার হয়েছিল তিন হাজার ১৬৪ কোটি টাকার। তবে লেনদেন বাড়লেও এই বাজারের সুদহার দীর্ঘদিন ধরেই সোয়া ৫ শতাংশেই স্থিতিশীল রয়েছে।

আরবিসি /৩০ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category