স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহনগরে অটোরিকশা চালক শমসের (৩০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। শুধু অটোরিকশায় থাকা ব্যাটারি নেওয়ার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকের এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে ১ মার্চ শমসেরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শমসেরের বাড়ি রাজশাহী মহানগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার বসড়ি এলাকায়। তিনি ওই এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক শমসের নিখোঁজ হওয়ার পর এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় অপহরণ মামলা করা হয়। এরপর শমসেরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সেই অপহরণ মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপ নেয়। পুলিশ শমসের হত্যা মামলায় এক এক করে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে।
সর্বশেষ বুধবার রাতে তারেক নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তারেকের বাড়ি থেকে নিহত শমসেরের অটোরিকশার আটটি ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, অটোরিকশার ব্যাটারির জন্যই শমসেরকে হত্যা করা হয়। শমসের এক নারীর অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে চালাতেন। তার সঙ্গে আসামিদের আর কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না।
শমসের নিখোঁজ হওয়ার পরদিন তার বাবা থানায় অভিযোগ করেন, সাগর (২৫), সাগর (২২), সোহেল (২৩) ও আব্দুর রাজ্জাক (৪২) নামে চারজন তার ছেলের অটোরিকশা ভাড়া করে নিয়ে গেলেও আর ফিরে আসেনি। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলার পর দুই সাগর ও রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়। পরে ১ মার্চ গোদাগাড়ী থানা এলাকায় একটি ডোবার কচুরিপানার ভেতর শমসেরের লাশ পায় পুলিশ।
এরপর পুলিশ অনুসন্ধানে জানতে পারে রাসেল নামে এক যুবক এই হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত। গত ১০ এপ্রিল মহানগরীর রায়পাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু ও অটোরিকশা খোলার সরঞ্জামাদী উদ্ধার করা হয়। রাসেল পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর শমসের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হয় এবং ব্যাটারিগুলো উদ্ধার করা হয়।
আরবিসি/২৯ এপ্রিল/ রোজি