আরবিসি ডেস্ক : হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মামুনুল হকের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণাকে উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বসিলার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গতকাল (সোমবার) ঝর্ণার বাবা তার মেয়ের সন্ধান চেয়ে কলাবাগান থানায় একটি জিডি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে ঝর্ণাকে বসিলার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে বিকেলে তাকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
জিডিতে ঝর্ণার বাবা বলেন, মামুনুল হকের অপকৌশলে ঝর্ণার সুখের প্রথম সংসার ভেঙে যায়। একপর্যায়ে জীবনের তাগিদে কাজের সন্ধানে ঝর্ণা ঢাকায় চলে আসে। গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রিসোর্টকাণ্ডের পর তিনি জানতে পারেন, ঝর্ণাকে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেন মামুনুল হক।
ওলিয়ার রহমান জিডিতে উল্লেখ করেন, দুদিন আগে ঝর্ণা ফোন করে তার নাতিকে (ঝর্ণার বড় ছেলে) জানান, তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। তার ওপর চাপ যাচ্ছে। তাকে জরুরিভিত্তিতে উদ্ধার করতে বলেন। যেকোনো সময় তাকে মেরে ফেলা হতে পারে। তিনি ঢাকায় মামুনুল হকের বোনের বাসায় আছেন। ঢাকায় কোথায় আছেন, জানতে চাইলে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি এ ঘটনা ঝর্ণার বড় ছেলের কাছ থেকে জানতে পেরে চরম উদ্বিগ্ন। মামুনুল হকের লোকজন যেকোনো মুহূর্তে ঝর্ণাকে হত্যার পর মরদেহ গুম করতে পারে বলে তার সন্দেহ হচ্ছে। এ অবস্থায় জরুরিভাবে ঝর্ণাকে উদ্ধারের কথা বলেন ওলিয়ার রহমান।
উল্লেখ্য, ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীসহ ঘেরাও হন মামুনুল হক। ওই নারীকে তিনি তার ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’ হিসেবে দাবি করেন। পরে মামুনুল হকের একাধিক বিয়ের খবর বেরিয়ে আসে।
মামুনুল হককে ১৮ এপ্রিল ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি এখন রিমান্ডে আছেন। মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে নতুন-পুরোনো মিলিয়ে অন্তত ১৮টি মামলা রয়েছে।
আরবিসি /২৭ এপ্রিল/ রোজি