• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পূর্বাহ্ন

বাগমারায় জমির বিরোধে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

Reporter Name / ৮৭ Time View
Update : শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে হাবিল কাজী (৪২) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। তাকে উদ্ধারে গিয়ে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের মাধাইমুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে রাতেই তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন, নিহত হাবিলের পিতা আজিমুদ্দীন কাজী (৬৫), চাচা আব্দুর রাজ্জাক (৫৫), ছেলে সৈকত (১৬), প্রতিবেশেী জুয়েল রানা (২৫) ও মুনছুর রহমান (৪৬)।

বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদ জানান, নিহতের পিতা আজিমুদ্দীন কাজীর সঙ্গে প্রতিবেশী সেফাতুল্লাহের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে হাবিল কাজী ও তার ছেলে সৈকত পান বরজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাদের পথ আটকায় সেফাতুল্লাহ ও তার ছেলে এবং ভাতিজারা। সেখানে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হলেও বিষয়টি তখনই থেমে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাদ দিয়ে ওসি জানান, সন্ধ্যায় হাবিল কাজী বাড়ির বাহির বের হলে তার উপর হামলা চালানো হয়। এ সময় পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হলে তাকে উদ্ধারে অন্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যায় হাবিল কাজী। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাজশাহী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব। তিনি বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে পুলিশ পৌঁছার আগে এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহতের পিতা আজিমুদ্দীন কাজী ১৯৭৩/৭৪ সালে একই গ্রামের আসতুল্লাহর কাছ থেকে জমি ক্রয় করে চাষবাদ করে আসছিল। অন্যদিকে তার বোন ছবেজানের নিকট থেকে ১৯৮৩ সালে আবারও জমি ক্রয় করে আজিমুদ্দীন কাজী। সেই জমি ফিরে পেতে একটি পেনশন জারি করে আসতুল্লাহ।

পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে মহামান্য আদালত আসতুল্লাহর করা পেনশন বাতিল করে আজিমুদ্দীন কাজীর নামে রায় দেয় আদালত। জমিটি ক্রয়ের পর থেকে আজিমুদ্দীন কাজী ভোগ দখল করে আসছিল। এর পর ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে মৃত আসতুল্লাহর ছেলেরা এবং তারই ভাই সেফাতুল্লাহসহ তার ছেলে একটি ভূয়া দলিল করে জমিটি নিজেদের বলে দাবী করে আসছে।

আরবিসি/২৩ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category