আরবিসি ডেস্ক : সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম। তবে দাম কমেছে মুরগি ও ডিমের। অপরদিকে অপরিবর্তিত ভোজ্যতেল ও চালসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, সজনে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। শসার দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। মটরশুঁটির কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লেবুর দাম বেড়ে প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়।
এছাড়াও শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ২০০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, আদা ৮০ থেকে ১০০ টাকা। হলুদ ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৩৯ টাকা।
লাল ডিমের দাম ৫ টাকা কমে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। দেশী মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৮০ টাকা।
প্রতিকেজিতে ৫০ টাকা দাম কমে বিক্রি হচ্ছে সোনালি (কক) মুরগি ২৩০ থেকে ২২০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। লেয়ার মুরগি কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকা।
এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা।
এসব বাজারে প্রতিকেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, প্রতি এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে এক হাজার টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পোয়া মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, টাটকিনি মাছ ১০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ দেশি মাছ ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় মাছ ৫০০, রিটা মাছ ২২০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, ছোট বেলে মাছ ১২০ টাকা, রূপ চাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, লকডাউনের কারণে বাজারে ক্রেতা অনেক কম আসছে। এ জন্য বাজারে মুরগির দাম কম। আশা করছি লকডাউনের পরে বেচা-কেনা বাড়বে। মুরগির বাজারও ভালো যাবে।
আরবিসি/২৩ এপ্রিল/ রোজি