আরবিসি ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে ভোক্তার আয় কমলেও বেড়েছে ব্যয়। কারণ বাজারের অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম বেশি। গত ১ মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে মাঝারি আকারের চাল কেজিতে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়েছে। আর মোটা চাল কেজিতে দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ।চালের বাজার এখন উত্তপ্ত।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানায়, এক বছরের ব্যবধানে মোটা চাল খুচরা বাজারে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে সব শ্রেণির ভোক্তা ভোগান্তিতে পড়ছে। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে বলে জানা যায়, এ দিন প্রতি কেজি পাইজাম চাল বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা। যা ১ মাস আগে ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০-৫২ টাকা। যা ১ মাস আগে খুচরা বাজারে ৪৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
নয়াবাজারে চাল কিনতে আসা রেজাউল নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে কয়েক মাস ধরে সব ধরনের চালের দাম বাড়তি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আয় কমেছে যে কারণে বাড়তি দরে চাল কিনতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। যে কারণে কোনো আয় নেই। যে টাকা জমানো আছে সে টাকা দিয়ে চলতে হচ্ছে। এর মধ্যে জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে। কিভাবে বাঁচব বুঝতে পারছি না।
মালিবাগ বাজারে আসা ক্রেতা মো. ইখলাস বলেন, লকডাউনে আয় নেই। দিনমজুরি করে যে টাকা পেতাম, সেটা দিয়ে প্রতিদিনের বাজার করতাম। কিন্তু এখন কাজ নেই। তাই রোজগারও নেই। এ পরিস্থিতিতে চালের দাম চড়া। এমন চলতে থাকলে আমাদের মতো গরিব মানুষ না খেয়ে মারা যাবে।
বাড়তি দামের কারণ জানতে চাইলে মালিবাগ কাঁচাবাজারের খালেক রাইস এজেন্সির মালিক ও খুচরা চাল বিক্রেতা দিদার হোসেন বলেন, বাজারে গত কয়েক মাস ধরে সব ধরনের চালের দাম বেশি। গত কয়েক মাসে মিলাররা ধাপে ধাপে চালের দাম বাড়িয়েছে। যে কারণে চালের বাজার অস্থিরতা বিরাজ করছে। যার প্রভার সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে পড়ছে।
কাওরান বাজারের আল্লাহর দান রাউস এজেন্সির মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চালের দাম মিলাররা কমাচ্ছেন না। তারা বলছেন, নতুন ধান এলেই দাম কমবে। মিলাররা দাম বেশি রাখার সুযোগ খোঁজেন। কোনো অজুহাত পেলেই তারা দাম বাড়ান। গত কয়েক মাস ধরে মিলারদের কারসাজিতে চালের বাজার অস্থির হয়ে আছে।
আরবিসি/২৩ এপ্রিল/ রোজি