আরবিসি ডেস্ক: পৃথিবীতে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর পরেই বিজ্ঞানিরা আবিষ্কার করেন যে ভাইরাসটি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ নিচ্ছে। এতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে বিপাকে পড়েন বিজ্ঞানীরা। করোনাভাইরাসের নতুন ধরন বি.১.৫২৫ গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্য ও নাইজেরিয়ায় শনাক্তের পর এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটার (জিআইএসএআইডি) তথ্য অনুসারে, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একাধিক গবেষণাগারে এই ভ্যারিয়েন্টের আটটি নমুনা পাওয়া গেছে। তবে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের বিজ্ঞানীরা ছয়টি শনাক্ত করেছেন। বাকি দুটির একটি ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভের এবং একটি শিশু স্বাস্থ্য গবেষণা ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞানীরা শনাক্ত করেছেন।
গত ৮ থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সে করে নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার ওই ফলাফল জিআইএসএআইডির ডাটাবেজে প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে, বাংলাদেশে বি.১.৩৫১ বা ৫০১.ভি২ নামে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এ ছাড়াও, গত জানুয়ারিতে বি.১.১.৭ হিসেবে পরিচিত যুক্তরাজ্যের আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। বি.১.৫২৫ নামের নতুন ভ্যারিয়েন্টটি এখন পর্যন্ত ডেনমার্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াসহ ২৪টি দেশে পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) মহামারি সংক্রান্ত সর্বশেষ আপডেটে এই ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এদিকে গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর থেকে শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৮শ’৬৯ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭শ’৩ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ২২৫ জন।
আরবিসি/২৩ এপ্রিল/এলএইচ