• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
রাবির ৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ৩৩ জনের নানা মেয়াদে শাস্তি রাজপাড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন আরএমপি পুলিশ কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক পাকিস্তানি চিনি, আলুসহ শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে এলো সেই জাহাজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন রাজশাহীর চারঘাটে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ সার সঙ্কটে রাজশাহীতে ব্যাহত হচ্ছে আলুচাষ, দামও অতিরিক্ত রাজশাহীতে ফের বাস ও সিএনজি চালকের সংঘর্ষ, দুই পক্ষের মীমাংসা স্থগিত কিডনি রোগীর চিকিৎসা আর আইফোন কিনতে ডাকাতির চেষ্টা: পুলিশ তনুর গ্রাফিতিতে পোস্টার সাঁটানো নিয়ে যা বললেন মেহজাবীন

কবি শঙ্খ ঘোষের জীবনাবসান

Reporter Name / ৪১৩ Time View
Update : বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কবি শঙ্খ ঘোষ আর নেই। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে শঙ্খ ঘোষের করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাতে আচমকা তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।

বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে তাকে ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দুপুর ১২টার দিকে না ফেরার দেশে চলে যান কবি। মৃত্যুকালে শক্তিমান এই কবির বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।

করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে যেতে চাননি। তাই কলকাতার বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তার। জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন কবি। গত জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাকে।

সৃষ্টিমুখর জীবন : শঙ্খ ঘোষের আসল নাম চিত্তপ্রিয় ঘোষ। তার পিতা মনীন্দ্রকুমার ঘোষ এবং মাতা অমলা ঘোষ। ১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বর্তমান চাঁদপুর জেলায় তার জন্ম। বংশানুক্রমিকভাবে পৈত্রিক বাড়ি বরিশালের বানারিপাড়ায়। তবে শঙ্খ ঘোষ বড় হয়েছেন পাবনায়। পিতার কর্মস্থল হওয়ায় তিনি বেশ কয়েক বছর পাবনায় অবস্থান করেন এবং সেখানকার চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।

১৯৫১ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলায় কলা বিভাগে স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি যাদবপুর ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৯২ সালে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন।

তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানেও অধ্যাপনা করেছেন। ইউনিভার্সিটি অব আইওয়ায় ‘রাইটার্স ওয়ার্কশপ’-এও শামিল হন। বছর দুয়েক আগে ‘মাটি’ নামের একটি কবিতায় ভারত সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধেও গর্জে উঠেছিলেন তিনি।

‘দিনগুলি রাতগুলি’র ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’: বাংলা কবিতার জগতে শঙ্খ ঘোষের অবদান কিংবদন্তিপ্রতিম। ‘দিনগুলি রাতগুলি’, ‘বাবরের প্রার্থনা’, ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’, ‘গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ’ তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ হিসেবেও তার প্রসিদ্ধি সর্বজনবিদিত।

দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে একাধিক সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন শঙ্খ ঘোষ। ১৯৭৭ সালে ‘বাবরের প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান, যা ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার। ১৯৯৯ সালে কন্নড় ভাষা থেকে বাংলায় ‘রক্তকল্যাণ’ নাটকটি অনুবাদ করেও সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান তিনি। এছাড়াও রবীন্দ্র পুরস্কার, সরস্বতী সম্মান, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে তাকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করে তৎকালীন ভারত সরকার।

শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন, ‘হাতের উপর হাত রাখা খুব সহজ নয়/সারা জীবন বইতে পারা সহজ নয়/এ কথা খুব সহজ, কিন্তু কে না জানে/সহজ কথা ঠিক ততটা সহজ নয়’। কবিতায় এমন ‘সহজ’ হওয়াও খুব সহজ নয়। তাই কবি চলে গেলেও রয়ে যাবেন পাঠকের অন্তরে। প্রেমে ও প্রতিবাদে, বিপ্লবে বা বিরহে বার বার তার কবিতার দুয়ারে যাবে বাঙালি।

আরবিসি/২১ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category