স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পবা উপজেলার শিশু হাসিনা খাতুনকে (১২) ধর্ষণ ও গলা কেটে হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হাসিনার পায়জামায় লেগে থাকা বীর্যের ডিএনএ পরীক্ষার পর শনাক্ত হয়েছেন খুনি। পিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারেও পাঠিয়েছে। আসামির নাম নাজমুল হক।
নাজমুল শিশু হাসিনার মামা। তিন বছর আগে শিশু হাসিনাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন তিনি। নাজমুল হক এখন কারাগারে। তার বিরুদ্ধে গত ১১ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গৌতম চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলাটির তদন্তভার নেওয়ার পর তারা যেসব আলামত জব্দ করেছিলেন, তার মধ্যে একটি হাসুয়ায় লেগে থাকা রক্তের সঙ্গে শিশুটির পায়জামায় লেগে থাকা বীর্যের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষার ফল হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হন খুনি কে। এরপর শিশুটির মামা নাজমুল হককে গ্রেপ্তার করেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর পবায় ধর্ষণের পর শিশু হাসিনাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ওইদিন রাত ১২টার দিকে উপজেলার বারইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হাসিনা গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের বাইপুর গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে। ঘটনার কয়েকদিন আগে শিশুটি তার নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।
পিবিআই জানায়, শিশুটি প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা শেষে নানার বাড়ি পবার বারইপাড়াতে বেড়াতে এসেছিলো। তার নানার নাম আকবর আলী। ওইদিন রাতে শিশুটিকে বাড়িতে রেখে নানা ও নানী পাশের বাড়িতে যান। এই সুযোগে মামা নাজমুল হক বাড়িতে ঢুকে শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ করে। এরপর গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। শেষ রাতের দিকে নানা-নানী বাসায় ফিরে শিশুটির মরদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
রাজশাহী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ জানান, শিশুটির বাবা নগরীর কর্ণহার থানায় মামলা করলে তারা স্বপ্রণেদিত হয়ে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেছিলেন। প্রায় তিন বছর তদন্ত করে খুনিকে শনাক্তের পর তারা অভিযোগপত্র আদালতে দিয়েছেন। ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে শিশুটি হত্যা করেন নাজমুল।
আরবিসি/১৭ এপ্রিল/ রোজি