• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
শীর্ষ সংবাদ
ঢাকা বোট ক্লাবের নব-নির্বাচিত সদস্য খন্দকার হাসান কবিরকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ক্লাবের শুভেচ্ছা তানোরে স্থানীয়দের তৎপরতায় জলাশয় ভরাটের মাটি ফেলা বন্ধ রাজশাহীতে কসমিকা ডিসট্রিবিউশন অফিসে দূর্ধর্ষ ডাকাতি কারিতাস আলোকিত শিশু প্রকল্পের শিশু সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালা রাণা দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ রাজশাহীতে খানকাহ শরীফে লুটপাট,ভাংচুর ও হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার-সংকটে ভারতীয় বিদ্যুতের ১০০ কোটির বকেয়া পরিশোধে হিমশিম বাংলাদেশ ছয়দিন পর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা: বাবা-ছেলেসহ গ্রেফতার ৩ আল্লাহ তোমার বিচার তুমি করো: পরীমণি

অলিগলিতে জনস্রোত, মোড়ে-মোড়ে দোকান

Reporter Name / ৭৪ Time View
Update : শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : করোনা নিয়ন্ত্রণে চলছে কঠোর লকডাউন। চলমান লকডাউনে প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ। নেই মানুষের জটলাও। তবে অলি-গলিতে বাড়ছে মানুষের ভিড়। মোড়ে মোড়ে বসে কাঁচাবাজারসহ নিত‌্যপণ‌্যরে অস্থায়ী দোকান। শনিবার রাজধানীর মিরপুর, শেওড়া পাড়া, পাইক পাড়া, ৬০ ফিট এলাকা ঘুরে এমন দৃশ‌্য চোখে পড়েছে। রাজশাহীতেও একই দৃশ্য এখন চোখে পড়ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কোথাও স্বাস্থ‌্যবিধির বালাই নেই। যে যার যার মতো অবাধে চলাফেরা করছে। মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্বও নেই। অলিগলিতে জটলা পাকিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন স্থানীয়রা।

মাসুদ, সিজান, জাবিন রাফি আড্ডা দিচ্ছিলেন। কথাপ্রসঙ্গে রাফি বলেন, ‘সারাদিন বাসায় বসে থাকতে ভালো লাগে না। তাই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে এসেছি। এখন কলেজ বন্ধ। পড়াশোনার চাপ নেই। বিকাল পর্যন্ত সবাই একসঙ্গে ঘুরবো। সন্ধ্যায় ইফতারের সময় বাসায় ফিরবো।’

মুখে মাস্ক না পরে রাস্তায় আনারস বিক্রি করছিলেন ছোটন মিয়া। তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরে কী হবে? করোনা হওয়ার থাকলে এমনিতেই হবে। আল্লাহ যেদিন নেবে, সেদিন চলে যেতেই হবে। এসব সামজিক দূরত্ব দিতে কিছু হবে না।’

জাহিদুল ইসলাম মাস্ক পরেই বের হয়েছেন। তবে তার সংশয় একা স্বাস্থ‌্যবিধি মেনে কী হবে? তিনি বলেন, ‘আশেপাশে কেউই তো মানছেন না। সবাই মিলে সচেতন না হলে করোনা দেশ ছেড়ে কোনোদিন যাবে না। কাজে বের হয়েছি। কিন্তু রাস্তায় দেখি মানুষ আর মানুষ। একটা জিনিস কিনতে গেলে আরও তিনজন এসে গায়ে পড়ে। এই অবস্থায় কিভাবে স্বাস্থবিধি রক্ষা পাবে?’

ফল বিক্রেতা জয়নাল বলেন, ‘মানুষকে ভিড় করতে না করলেও শোনে না। বিশেষ করে বিকাল বেলায় প্রচণ্ড ভিড় বেড়ে যায়। মানুষের মাথা মানুষ খায়। কারণ ইফতারের আগ মুহূর্তে সবাই একযোগে কেনাকাটা করতে বের হয়। যতই সরকার লকডাউন দিক, সবাই নিজের জায়গা থেকে সচেতন না হলে কেউ একা করোনা রুখতে পারবে না।’

অলি-গলিতে মানুষের জটলা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত কাঁচাবাজারের জিনিসপত্র বিক্রির নির্দেশনা আছে। এই সময় কিছুটা মানুষের উপস্থিতি দেখা যেতে পারে। তবু যেন স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত না হয়, সে ব্যাপারে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। মাইকিংসহ টহল দিচ্ছে পুলিশ।’

আরবিসি/১৭ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category