আরবিসি ডেস্ক : বাজারে সবজির দাম বাড়ছেই। এরমধ্যে বেগুনের দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকায়। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি দাম বেড়েছে আদা, পেঁয়াজেরও। তবে মুরগির দাম কমেছে। অপরদিকে অপরিবর্তীত রয়েছে ডিম, ভোজ্যতেল, চালসহ অন্য পণ্যের দাম।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। এছাড়া প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, সাজনা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।
কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। খিরা ৫০ টাকা। শসার দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। মটরশুঁটির কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লেবুর দাম বেড়ে হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
এছাড়াও শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ২০০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, আদা ৮০ থেকে ১০০ টাকা। হলুদ ১৮০ টাকা থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, পোলাও চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেলর লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৩৯ টাকা।
এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম কমে ডজন এখন ১৩৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা।
প্রতি কেজিতে ২০ টাকা দাম কমে বিক্রি হচ্ছে সোনালি (কক) মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। লেয়ার মুরগি কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকা।
এসব বাজারে অপরিবর্তীত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়।
এসব বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, প্রতি এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পোয়া মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, টাটকিনি মাছ ১০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কৈ দেশি মাছ ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় মাছ ৫০০, রিডা মাছ ২২০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, বাইলা ১২০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিরপুর-১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রথম রোজায় বাজারে মুরগির দাম বেড়েছিল। এখন দাম কিছুটা কমেছে। তবে চাহিদা বাড়লে ২০ রমজানের পরে বাজারে মুরগির দাম আবার বাড়তে পারে।
আরবিসি/১৬ এপ্রিল/ রোজি