স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আল মামুন খানের অফিসে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছিলেন একজন সিনিয়র নার্স।
রোববার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর মেয়রের অফিসে গিয়ে তিনি বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন। মেয়রের দৈহিক মেলামেলায় ওই নার্স অন্তঃসত্ত্বা বলেও দাবি করেন। পরে পুঠিয়া থানা পুলিশ তাকে সেখান থেকে থানায় নিয়ে যায়।
পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী জানান, মেয়েটি নিজেই বাদী হয়ে এজাহার দিয়েছেন। ধর্ষণের বর্ণনা দিয়েছেন। পরে থানায় তার এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
পৌর মেয়রের অফিসে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেওয়া ওই নার্স জানান, প্রায় দুই বছর আগে বর্তমান মেয়র আল মামুন খানের সঙ্গে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তার পরিচয় হয়।
পরিচয়ের পর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মন দেওয়া-নেওয়ার সময় তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। এরপর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। এই কথা জানিয়ে আল মামুন খানকে বিয়ের জন্য বলা হয়। কিন্তু তিনি বিয়ে করবেন না বলে জানান।
ওই তরুণী বলেন, শনিবার (১০ এপ্রিল) দুর্গাপুর থানায় মেয়র আল মামুন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। তাই বাধ্য রোববার মেয়রের কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নিয়েছি। পরে পুলিশ সেখান থেকে থানায় নিয়ে আসে।
তবে এ ব্যাপারে মোবাইলে কোনো কথা বলতে রাজি হননি পুঠিয়া পৌর মেয়র আল মামুন।
আরবিসি/১২ এপ্রিল/ রোজি