• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে মিজান হত্যাকাণ্ডে জড়িত ‘ঘাতক’ মাধব আটক

Reporter Name / ২৩৩ Time View
Update : রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে আনসার বাহিনীর সদস্য মিজানুর রহমান মিজানকে (৩০) হত্যার ঘটনায় তাঁর বন্ধু মাধব কুমারকে (৩৬) আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মিজানুরের মৃত্যুর পর পালিয়ে যাচ্ছিলেন মাধব। তখন পুঠিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাধবের বিরুদ্ধেই ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীও আছেন।

এর আগে শনিবার রাত ৮টার দিকে মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকায় ওয়াসার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ভেতর আনসারদের একটি কোয়ার্টারের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মিজানুর রহমান আনসার বাহিনীর হ্যান্ডবল দলের খেলোয়াড় ছিলেন। বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসেও তিনি আনসার বাহিনীর দলে ছিলেন। খেলা শেষে ছুটিতে তিনি বাড়ি এসেছিলেন। এসেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন।

তাঁর বাড়ি নগরীর হেতেমখাঁ সবজিপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মো. মন্টু। আটক মাধব কুমারেরও বাড়ি হেতেমখাঁ এলাকায়। তিনি মিজানুরের বন্ধু ছিলেন। এলাকায় সুদ আর মাদকের ব্যবসা করতেন মাধব।

এলাকাবাসী জানান, হেতেমখাঁ এলাকায় ওয়াসার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাশে রেজা নামে এক ব্যক্তির একটা দোকান আছে। লকডাউন চলার কারণে মিজানুর ওই দোকানীকে লাইট বন্ধ করে ব্যবসা করতে বলেন। কিন্তু কেন লাইট বন্ধ করতে হবে এই প্রশ্ন তুলে মিজানুরের সঙ্গে তর্কে জড়ান মাধব। এ সময় তাঁদের দুজনের হাতাহাতিও হয়। তখন অন্য বন্ধুরা তাঁদের থামান। এরপর মিজানুর প্লান্টের ভেতরের এলাকায় ঢুকে আনসারদের কোয়ার্টারের সামনে সেখানকার সদস্যদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন।

কিছুক্ষণ পর মাধব গিয়ে তাঁকে আচমকা ছুরিকাঘাত করেন। পরে মাধবসহ আরও কয়েকজন তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় মাধব পালিয়ে যান। মিজানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।

বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাধবের বাড়িতে হামলার প্রস্তুতি নেন। কেউ কেউ গিয়ে বাড়ির গেট ধাক্কাধাক্কি করেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত মিজানুরের মরদেহ রামেকের মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আরবিসি/১১ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category