• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ন

তদন্ত প্রতিবেদন : ১৭ প্রাণহানীর কারণ বেপরোয়া ওভার টেকিং

Reporter Name / ১৩০ Time View
Update : রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর কাটাখালীতে গত ২৬ মার্চ দুপুরে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ১৭ জন। আর বাস ও মাইক্রোবাসের মধ্যে সংঘর্ষের কারণ হিসেবে তদন্তে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ‘বেপরোয়া গতিতে বিপজ্জনক ওভার টেকিং’।
এ কারণেই সড়কে জীবন্ত মানুষগুলো পুড়ে ছাই হয়ে অকালে প্রাণ হারান।

জানতে চাইলে রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ কাউছার হামিদ এই তদন্ত প্রতিবেদনের কথা নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এতে দুর্ঘটনা রোধে ১২টি সুপারিশও করা হয়েছে।

রাজশাহী জেলার সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ কাউছার হামিদ বলেন, সুপারিশের মধ্যে মহাসড়কে ধীরগতির (ভ্যান, রিকশা, সাইকেল) যানবাহন বন্ধ করা, এই যানবাহনগুলোর জন্য সড়কের দুই পাশে আলাদা লেন, যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রক যন্ত্র বসানো, রোড ডিভাইডার না থাকা, গাড়িতে জিপিএস বাধ্যতামূলক করা উল্লেখযোগ্য।

তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে- রাজশাহীর কাটাখালীর ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যুর পরে আরও তিনটি দুর্ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সংখ্যা অল্প হলেও প্রাণহানি বেশি।

এর সবগুলোতেই ওভার স্পিড, ওভার টেকিংয়ের বিষয় ছিল। যে কারণে চালক যানবাহন নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। ফলে কোনো দুর্ঘটনায় সংঘর্ষ, ধাক্কা এবং পিষ্ট করেছে যাত্রী বা পথচারীদের। তাই গতি নিয়ন্ত্রণ ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্যও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২৬ মার্চ দুপুরে কাটাখালীতে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে আগুনে পুড়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। সেখানে আগুনে পুড়ে ১১ জনের মৃত্যু হয় মাইক্রোবাসের ভেতরেই। যার মধ্যে ৪ জন মেয়ে, ২ জন শিশু ও ৫ জন পুরুষের পোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এই দুর্ঘটনায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

আরবিসি/১১ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category