আরবিসি ডেস্ক : করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। মহামারি থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে গণ টিকাদান কর্মসূচিও পরিচালনা করছে অনেক দেশ। এরপরও সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে চিন্তার মুখে পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কারণ করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সংক্রমিত রোগীদের মধ্যে নতুন করে আবারও তিনটি উপসর্গ দেখা গেছে। তবে সেগুলো করোনার নতুন ধরনের কারণে হচ্ছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
করোনা মহামারির প্রথম থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হিসেবে সর্দি-কাশি, জ্বর, স্বাদ অথবা ঘ্রাণের পরিবর্তন বিবেচিত হয়ে আসলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে এগুলোর সঙ্গে নতুন করে আরও তিনটি উপসর্গ যুক্ত হয়েছে। সেগুলো হলো-
১. গোলাপী চোখ: চীনে ১২ জন রোগীর ওপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে কনজেক্টিভাইটিস বা গোলাপী বর্ণের চোখ হল এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার নতুন উপসর্গ। কারও মধ্যে এই উপসর্গ থাকলে তার চোখে গোলাপী ভাব থাকবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির চোখ বারবার ফুলে যাবে এবং ঘন ঘন চোখ দিয়ে পানি পড়বে।
২. শ্রবণ ক্ষমতা কমে যাওয়া: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার নতুন উপসর্গ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা সংক্রমিত রোগীর শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাসের কথা জানিয়েছেন। মোট ৫৬ জনের ওপর করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে তাদের ২৪ জনেরই কানে শ্রবণ ক্ষমতা লোপ পেয়েছে।
৩. গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল বা হজমে সমস্যা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত রোগীদের হজমেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। নতুন এই উপসর্গে রোগীর পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
নতুন এই তিনটি উপসর্গের মধ্যে কোনো একটি যদি কারও শরীরে দেখা দেয় তাহলে সময় নষ্ট না করে তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি বাড়িতেই থাকতে হবে আর মেনে চলতে হবে করোনা বিধিনিষেধ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। বিশ্ব এখন করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে।
করোনায় আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য বলছে, শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মোট ১৩ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার ৫৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণহানি হয়েছে ২৯ লাখ ১৫ হাজার ১২ জনের। গত একদিনে করোনায় ৭ লাখ ৩৯ হাজার ১৩০ আক্রান্ত এবং ১৩ হাজার ৮৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরবিসি/০৯ এপ্রিল/ রোজি