• শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পূর্বাহ্ন

দেশে করোনা শনাক্তের রেকর্ড, মৃত্যু ৬৩

Reporter Name / ১১২ Time View
Update : বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : দেশে করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৬২৬ জনের। করোনায় মারা গেছেন ৬৩ জন, যা এক দিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু।

করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৪৪৭ জনে। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জনে।

৬ এপ্রিল করোনায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যা ছিল দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ। এ সময় আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ২১৩ জন।

বুধবার (৭ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৫৬ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৯ জন।

এ সময়ে ৩৪ হাজার ৬৬৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৩০টি নমুনা। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৫৬৫টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ০২ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬৩ জনের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ, বাকি ২৪ জন নারী। সবারই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। মোট মারা যাওয়া ৯ হাজার ৪৪৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৮২ জন, নারী ২ হাজার ৩৬৫ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মারা যাওয়া ৬৩ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৪০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

গত বছরের শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই জারি করা হয় লকডাউন। এতে থমকে যায় দেশগুলোর অর্থনীতির চাকা। বাংলাদেশেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে জেলাভিত্তিক চলাচল সীমিত করা হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকলে বিভিন্ন দেশ শর্তসাপেক্ষে লকডাউন তুলে নেয়। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিষেধক টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে।

আরবিসি/০৭ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category