স্টাফ রিপোর্টার: খাদ্যে শিল্পোৎপাদিত ট্রান্সফ্যাট হৃদরোগ ঝুঁকি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ মারা যায়। ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বুধবার বিশ^ খাদ্য দিবসে হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা দ্রুত চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছে প্রজ্ঞা। ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ
খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা পিএইচও, যা বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। পিএইচও বা ডালডা সাধারণত ভাজাপোড়া স্ন্যাক্স ও বেকারি পণ্য তৈরি এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়কসংলগ্ন দোকানে খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
১৯৫০ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সদস্য রাষ্ট্রসমূহ। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট প্রবিধানমালা অতিসত্ত্বর চূড়ান্ত এবং বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে অ্যাডভোকেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)।
হৃদরোগ ও তা থেকে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করার উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ থেকে শিল্প উৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ট্রান্সফ্যাট মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একটি খসড়া প্রবিধানমালা জনসাধারণের মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। আগামী ০৫ মে ২০২১ পর্যন্ত এই প্রবিধানমালার ওপর মতামত প্রদানের সুযোগ রয়েছে।
ট্রান্স ফ্যাটি এসিড (টিএফএ) বা ট্রান্সফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য একটি ক্ষতিকর খাদ্য উপাদান। মাত্রাতিরিক্ত ট্রান্সফ্যাট গ্রহণ উচ্চহারে হৃদরোগ, হৃদরোগজনিত মৃত্যু, স্মৃতিভ্রংশ (ডিমেনশিয়া) এবং স্বল্প স্মৃতিহানি (কগনিটিভ ইমপেয়ারমেন্ট) জাতীয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর জীবন সকলের অধিকার। ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই প্রবিধানমালা চূড়ান্ত এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।’
আরবিসি/০৭ এপ্রিল/ রোজি