• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

ভারতে একদিনে আরও ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত

Reporter Name / ১১০ Time View
Update : বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১

আরবিসি ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর এবারই প্রথম ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড এক লাখ ১৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারতে।

সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে বেহাল ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার অনাকাঙ্ক্ষিত এই মাইলফলকে পৌঁছানোর কথা জানায়।

এ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার পরবর্তী ৪ সপ্তাহকে ভারতের জন্য ‘খুব, খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মনে করলেও এখনই ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবার জন্য টিকাদান শুরুর চিন্তাভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভুষণ।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি একথা বলেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি।

“কেন আমরা কিছু গ্রুপকে অন্যদের চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেবো? কারণ, টিকাদানের এই পর্যায়ে আমাদের কাছে ভ্যাকসিনের সীমিত সরবরাহ থাকবে,” বলেছেন রাজেশ।

ভারতের মধ্যে এখন ছত্তিশগড়, দিল্লি, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশেই দৈনিক শনাক্তের উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে।

দেশটির রাজ্যগুলোর মধ্যে ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্রে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ হাজারের বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মুম্বাইয়ে হাসপাতালগুলোতে ভিড় ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে কর্তৃপক্ষ একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা চালু করেছে; যার মাধ্যমে রোগীদের বিভিন্ন হাসপাতালে আসন বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

দিল্লিতেও ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১০০ নতুন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে; চলতি বছর শহরটি একদিনে আর কখনোই এত রোগী পায়নি।

ভারতের এ রাজধানী শহর প্রথমবারের মতো একদিনে এক লাখের বেশি শনাক্তকরণ পরীক্ষা করার পর সংক্রমণের এ ঊর্ধ্বগতির চিত্র মিলল। দৈনিক শনাক্তে লাগাম টানতে দিল্লির কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউও দিয়েছে।

এর আগে সোমবার একদিনে এক লাখ ৩ হাজার ৫৫৮ জন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল ভারতের স্বাস্থা মন্ত্রণালয়। বুধবার স্থানীয় সময় সকালে কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে সে রেকর্ড ভেঙে গেল। এদিন কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৬ নতুন রোগীর পাশাপাশি ৬৩০ জনের মৃত্যুর কথাও জানিয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে রয়টার্সের এক হিসাবে বলা হচ্ছে।

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষের। দেশটিতে শনাক্ত রোগীও ৩ কোটি ৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

আরবিসি/০৭ এপ্রিল/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category