স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাঘায় আম বাগান থেকে সীমা বেগম নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ১৫ দিন পর ঘটনার সাথে জড়িত আসামী বজলুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোর রাতে ফরিদপুর সদর থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক বজলুর রহমান পুলিশকে জানিয়েছে তার বন্ধুর প্রেমিকা আন্ত:সত্তা হয়ে প্রেমিককে বিয়ে করতে বলায় তারা দুই বন্ধু মিলে ওই গৃহবধুকে ধর্ষনের পর হত্যা করে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার আরিফপুর গ্রামের আতব আলীর মেয়ে সীমা বেগম (৩৫) স্বামী পরিত্যাক্তা। সে বাঘা উপজেলা সদরে একটি বাড়িতে কাজ করতেন। সেই সুবাদে বাঘা বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী রাজার (২৪) সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রাজার পিতার নাম শহিদুল ইসলাম। তার বাড়ী উপজেলার বাজুবাঘা গ্রামে। অপর আসামী বজলুর রহমানের (৪০) পিতার নাম বিচ্ছাদ আলী। তার বাড়ী বারখাদিয়া গ্রামে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত আব্দুল বারি জানান, ২৩ মার্চ সকাল ৬ টার সময় গৃহবধু সীমা বেগমের বাড়ির পাশে একটি আম বাগান থেকে তার মরাদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় লাশের গলায় কালো দাগ দেখে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে তার লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয় এবং ঘটনার ক্লু উদঘাটন করার চেষ্টা চালায় পুলিশ।
সর্বশেষ মঙ্গলবার প্রধান আসামীর বন্ধু বজলুর রহমানকে গ্রেফতারের পর ঘটনার সব রহস্য বেরিয়ে আসে। বজলুর রহমানকে বিকেলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরবিসি/০৬ এপ্রিল/ রোজি