স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে মার্কেট খোলার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা। সোমবার বেলা ১১টার পর সাহেববাজার আরডিএ মার্কেটের সামনে জড়ো হয়ে ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মচারিরা। পরে সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ শুরু করে।
পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাবেন বলে আশ্বাস দেন। এর পর দুপুর ১২টার দিকে ব্যবসায়ীরা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়।
ব্যবসায়ী কাজল হোসেন বলেন, আমরা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ডিসি সাহেবের সাথে কথা বলেছি। আলোচনা করে কালকে জানাবেন। যদিও কোন রকম দোকান খোলার সিদ্ধান্ত না হয়; আমরা সবাই নিজে নিজে দোকান খুলে ফেলবো।
রাজশাহী কাপড়পট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামিম বলেন, গত বছর লকডাউনের কারণে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে ঠিক মতো ঈদ করতে পারেনি। লকডাউন চলছে চলুক, আমাদের একটা সময় বেধে দিলে ভালো হবে।
বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্রবর্মন বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম এসে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেছেন। ব্যবসায়ীদের দাবিগুলো শুনেছেন। তিনি ব্যবসায়ীদের কথা গুলো সরকারের উপর মহলে জানাবেন এমন আশ্বাস দেন। এর পর রাস্তা থেকে ব্যবসায়ীরা চলে যান।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলামকে বলেন, লকডাউন সরকারি সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্কেট খোলার কোন সুযোগ নেয়। কেউ যদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে রাখে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
এদিকে, রাজশাহীতে অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে শুরু হয়েছে লকডাউন। প্রথম দিন জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব বন্ধ থাকলেও কঠোরভাবে লকডাউন মেনে চলাতে মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। সড়কে বাস না চললেও রিকশা অটোরিকশা ও সিএনজি চলছে।
তবে এইসব পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের উঠতে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে নির্দেশনা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। কোথাও যানবাহনে দুই-তিনজনের অধিক দেখলে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকী বলেন, রোববার রাত থেকেই মার্কেট ও গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রথম দিনে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যেন বের না হয়। তবে দ্বিতীয় দিন থেকে আরও কড়াকড়ি করা হবে।
আরবিসি/০৫ এপ্রিল/ রোজি