• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন

প্রজাপতির নিচে সূর্যমুখী হাসে

Reporter Name / ২০৯ Time View
Update : শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : উপরে প্রজাপতির মতো ডানা মেলে আছে সড়কবাতি। আর তার নিচেই সড়ক ডিভাইডারে হাসছে সূর্যমুখী ফুল। রাজশাহী মহানগরীর বিলশিমলা থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত চার দশমিক ২ কিলোমিটার সড়কে শুধু সূর্যমুখীই নয়, বিদেশি ফুল হলিহকও ফুটেছে সড়কটিতে। আছে রঙ্গনেরও গাছ। সড়কটি নজড় কাড়ছে নগরবাসীর। রাজশাহী সিটি কর্পোশেনের  মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগ ও দিক-নির্দেশনায় সড়কটি এমন দৃষ্টিনন্দন আর নজড়কারা রূপ পেয়েছে।

২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দ্বিতীয়বার দায়িত্বগ্রহণের পর রাজশাহী মহানগরীকে পরিকল্পিতভাবে সাজাতে ও নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজশাহীকে বদলে দিতে কাজ শুরু করেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। ইতোমধ্যে নগরীর বহুমুখী উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। মেয়রের উদ্যোগে মহানগরীর বিলশিমলা থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত ব্যস্ততম এ সড়কটি সম্প্রতি চার লেনে উন্নীত করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। ৫২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা খরচে সড়কটি ৩০ ফুট থেকে ৮০ ফুটে উন্নীত করা হয়েছে। সড়ক ডিভাইডারে সম্প্রতি বসানো হয়েছে চীন থেকে আনা দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতি। এর পোলগুলোও দৃষ্টিনন্দন। সড়কটিতে রয়েছে ১৭৪টি দৃষ্টিনন্দন বৈদ্যুতিক পোল, প্রতিটি পোলে দুইটি করে মোট ৩৪৮টি এলইডি বাল্ব প্রজাপতির মতো ডানা মেলে রয়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সড়কবাতিগুলো অটোলজিক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন-অফ হয়।

বাতিগুলো লাগানোর পর চার লেনের এ সড়কটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। রাতে যখন প্রজাপতির মতো সড়কবাতিগুলো দুই পাশে দুটি করে লাইট জ্বলে ওঠে, তখন এক নান্দনিক রূপ দেখা যায় সড়কের। আর দিনে এখন সৌন্দর্য ফোটাচ্ছে সূর্যমুখী ও হলিহক ফুল। সড়ক ডিভাইডারে রঙ্গন ফুলেরও গাছ লাগানো হয়েছে। এখনই রঙ্গন না ফুটলেও কয়েক দিন আগে থেকে ফুটতে শুরু করেছে সূর্যমুখী এবং হলিহক। সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের দিক-নির্দেশনায় নগরের সৌন্দর্যবর্ধনে রাসিকের পরিবেশ উন্নয়ন শাখা সড়কটিতে এসব ফুলের গাছ লাগিয়েছে।

নগরীর চারখুটা মোড় এলাকার বাসিন্দা তামিম শাহরিয়ার ও অন্যান্যরা বলেন, এত সুন্দর সড়ক দেশের আর কোনো শহরে আছে কি না আমার জানা নেই। এ রকম সড়কবাতি আসলেই কোথাও দেখা যায়নি। এখন ডিভাইডারে ফুল ফোটার কারণে সৌন্দর্য আরও বেড়েছে। সড়কবাতিগুলো দেখে মনে হচ্ছে যেন ডিভাইডারের ফুল থেকে উঠে কেবল উড়েছে। এ দৃশ্য আমাদের মুগ্ধ করছে। শহরের সব সড়ক এমন হলে খুব ভাল হতো।

এ ব্যাপারে রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এ সড়কের দুই পাশে ১০ ফুট চওড়া ফুটপাত এবং রাস্তার দক্ষিণ পাশে আট ফুট বাইসাইকেল লেন নির্মাণ করা হয়েছে। দুইপাশেই আছে আরসিসি ড্রেন। সবচেয়ে সুন্দর এর আইল্যান্ড। সবুজায়নের জন্য এর ভেতরে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। ফুল এরই মধ্যে ফুটতেও শুরু করেছে। এর ফলে সড়কটি নান্দনিক রূপ পেয়েছে। নতুন যত রাস্তা করা হবে সবটিকেই এভাবে সাজানো হবে। রাজশাহীকে আরো পরিচ্ছন্ন, সবুজ, দৃষ্টিনন্দন, পরিকল্পিত, উন্নত ও বাসযোগ্য মহানগরীকে পরিণত করা হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

আরবিসি/০২ এপ্রিল/ রোজি

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category