আরবিসি ডেস্ক : বাজারে পটল, বেগুন, শিম, ধুন্দল, বরবটি, ঢেঁড়স, লাউ, সজনে ডাটা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটোসহ প্রায় সব ধরনের সবজি পাওয়া গেলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ সবজির কেজি এখন ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও বেশিরভাগ সবজি ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল।
সবজির পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মুরগি। গরু ও খাসির মাংস দীর্ঘদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, রসুনের দাম ক্রেতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতো ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা।
বাজারে নতুন আসা সজনে ডাটার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। তবে এখন এই সবজিটি এক কেজি কিনতে ক্রেতাদের একশ টাকা গুনতে হচ্ছে। বাজার ও মানভেদে সজনে ডাটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
সজনে ডাটার পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পটল, বরবটি, বেগুন, ঢেঁড়স। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে লাউ। মাঝারি আকারের একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এর সঙ্গে দাম বেড়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শিমের। ২০ থেকে ৩০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম বেড়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিমের দাম বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
নতুন করে দাম না বাড়লেও ধুন্দল, চিচিঙ্গা কিনতেও ভোক্তাদের ৫০ টাকার ওপরে গুনতে হচ্ছে। বাজার ও মানভেদে ধুন্দলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে চিচিঙ্গা। শশা আগের সপ্তাহের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এখন ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে পাকা টমেটো ও পেঁপে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে পাকা টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটোর দাম বেড়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পেঁপের কেজি আগের মতো ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গাঁজরের কেজিও আগের সপ্তাহের মতো ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, শীত চলে যাওয়ায় সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। সামনে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন বেশি দামে বিক্রি হাওয়া পটল, ঢেঁড়সের দাম সামনে কমে যাবে।
খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, কম দামে সবজি খাওয়ার দিন শেষ। এখন টমেটোর কেজি ৩০ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে এই দাম বেড়ে যাবে বলে আমাদের ধারণা।
এদিকে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পেঁয়াজের পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে রসুন, আদা এবং ডিম। ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি আদা।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, পেঁয়াজের দাম কখন বাড়ে, আবার কখন কমে বলা মুশকিল। তারপরও বাজারের চিত্র দেখে মনে হচ্ছে রোজার আগে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।
আরবিসি/০২ এপ্রিল/ রোজি