• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০২ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে নিহত ১৭ জনের লাশ নিতে হাসপাতালে স্বজনরা

Reporter Name / ১১৫ Time View
Update : শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর কাটাখালিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জনের লাশ নিতে স্বজনেরা হাসপাতালে এসেছেন। শনিবার সকালে তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এসে লাশের জন্য অপেক্ষা করছেন। নিহতরা সবাই রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তারা রাজশাহীতে একটি পার্কে পিকনিক করতে আসছিলেন। একজন বেঁচে থাকায় মাইক্রোবাসে চালকসহ মোট ১৮ জন ছিলেন।

এদের মধ্যে বেঁচে আছেন শুধু পাভেল (২৭) নামে একজন। তিনি এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। দুর্ঘটনায় তার বাবা মোখলেসুর রহমান (৪৫) ও মা পারভীন বেগম (৪০) নিহত হয়েছেন। তাদের বাড়ি পীরগঞ্জের ডারিকাপাড়া গ্রামে।

এছাড়া নিহত হয়েছেন পীরগঞ্জের রাঙ্গামাটি গ্রামের মো. সালাহউদ্দিন (৩৬), তার স্ত্রী শামসুন্নাহার (২৫), তাদের ছেলে সাজিদ (৮), মেয়ে সাফা (২), শামসুন্নাহারের বড় বোন কামরুন্নাহার (৩৭), উপজেলা সদরের মো. ভুট্টু (৪০), তার স্ত্রী মুক্তা বেগম (৪০), ছেলে ইয়ামিন (১৫), বড় মজিদপুরের ফুলমিয়া (৪০), তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫), ছেলে ফয়সাল (১৫) এবং মেয়ে সুমাইয়া (৮), সাবিহা (৩), দুরামিঠিপুরের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম (৪৬) এবং মাইক্রোবাসের চালক মো. হানিফ (৩০)। হানিফের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার পঁচাকান্দ গ্রামে।

 

তাদের পিকনিকের জন্য জায়গা ঠিক ছিল রাজশাহীর শহীদ জিয়া শিশু পার্ক। সেই পার্কে পৌঁছাতে আর মিনিট দশেকের মতো লাগত। এর মধ্যেই ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটালো মাইক্রোবাসটি। তারপর মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার লিক হয়ে আগুন ধরে গেল। এ দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসে থাকা ১৮ জনের মধ্যে ১৭ জনই মারা গেছেন।

শনিবার সকালে রামেক হাসপাতালে মরদেহ নিতে এসেছেন স্বজনেরা। এসেছেন নিহত শহীদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হুদাও (২০)। তিনি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন প্রথম বর্ষে। নাজমুল জানান, উপজেলা সদরে ব্যবসার সুবাদে সবার সঙ্গে সবার বন্ধুত্ব। তারা সবাই প্রতিবছর একসঙ্গে কোথাও না কোথাও বেড়াতে যেতেন। করোনার কারণে বেশকিছু দিন তাদের বেড়ানো হয়নি। তাই তারা রাজশাহীতে পিকনিক করার জন্য আসছিলেন।

নাজমুল বলেন, খবরটা দ্রুত অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানেই দেখি। টিভি খুলে দেখি একই নিউজ দেখাচ্ছে। এরপর আব্বাকে ফোন করি। নম্বর বন্ধ পাই। গাড়িতে যারা ছিলেন তাদের কয়েকজনকে ফোন করে দেখি তাদের নম্বরও বন্ধ। তখন মাথার ওপর যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।

ফুলমিয়াসহ তার পরিবারের পাঁচজন মারা যাওয়ায় মরদেহ নিয়ে যাওয়ার মতোও কেউ নেই। মরদেহগুলো নিতে এসেছেন প্রতিবেশীরা। অন্যান্য মরদেহের স্বজনরা হাসপাতালে ভিড় করেছেন মরদেহের জন্য। ম
সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবু আসলামকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল। তিনি বলেন, তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিলে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বলা যাবে। আর সরকারি খরচে মরদেহগুলো পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল।

আরবিসি/২৭ মার্চ/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category