আরবিসি ডেস্ক : চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে আয়োজিত মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন মাদরাসাছাত্র ও একজন স্থানীয় দর্জির দোকানে কাজ করতেন। এছাড়া আহত আরও চারজন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড চিকিৎসাধীন।
নিহতরা হলেন, রবিউল ইসলাম (২৩), মেরাজুল ইসলাম (২২) মিরাজুল ইসলাম, জামিল (২০) ও মিজান (৪০)।
এদিকে খবর পেয়ে বিকেল পৌনে ৬টার দিকে নিহত ও আহতদের দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে আসেন হেফাজতের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার পর উপজেলা ভূমি অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি উতপ্ত রয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার সামনে ছাত্র ও মুসল্লিদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে একটি মিছিল বের করে হাটহাজারী বড় মাদরাসার ছাত্র ও মুসল্লিরা। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন বলেন, পুলিশের উপর হামলা ও থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে মাদরাসার ছাত্ররা। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামবাদী বলেন, মাদরাসার ছাত্ররা ঢাকায় বায়তুল মোকাররমে হামলার পর একটি মিছিল বের করে। এরপর মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ মাদরাসা ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তারপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন। থানায় কেন ভাংচুর করা হলো এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মিছিলে বাধা না দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো না।
আরবিসি/২৬ মার্চ/ রোজি