আরবিসি ডেস্ক : ডানেডিন ও ক্রাইস্টচার্চের জয়ে শেষ ম্যাচ হাতে রেখে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে নিউ জিল্যান্ড। স্বাগতিকদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগের আরও ১০ পয়েন্ট নিশ্চিত করা। এরই মধ্যে দুই ম্যাচ জিতে তারা পেয়েছে ২০ পয়েন্ট।
সিরিজ জিতলেও বাংলাদেশকে নিয়ে ভয় আছে স্বাগতিক শিবিরে। শেষ ম্যাচ জিততে বাংলাদেশ মরিয়া হয়ে থাকবে, এজন্য নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলার দিকে জোর দিলেন নিউ জিল্যান্ডের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রস টেলর।
ওয়েলিংটনে মাঠে নামার আগে টেলর বলেন, ‘এটা আনন্দদায়ক যে আমরা সিরিজ ইতিমধ্যে জিতে গেছি। কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য পূর্ণ পয়েন্ট জেতা হয়নি এখনও। বলতে দ্বিধা নেই, বিশ্বকাপের চিন্তা এখন করতেই হচ্ছে। পুরো মৌসুমেই আমরা দেখেছি দলগুলো যারা কোয়ারেন্টাইন শেষ করে মাঠে নামছে তাদের খানিকটা সময়ের লাগছে। শেষ ম্যাচে ভাগ্য আমাদের পাশে ছিল। বাংলাদেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেছে। তবে আমি নিশ্চিত তারা মাথা উঁচু করে ওয়ানডে সিরিজ শেষ করতে চাইবে।’
ডানেডিনে প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতা, লড়াইয়ের তীব্রতা। ব্যাটিং, বোলিং সব কিছুই ছিল দারুণ। সেদিন দলগত ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ কাটিয়েছে বাজে দিন। ৪ ক্যাচ মিস ও একটি নিশ্চিত রান আউট হাতছাড়া করে অতিথিরা। নয়তো নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম জয় পেয়েই যেতো বাংলাদেশ।
দেশের মাটিতে বাংলাদেশ নিউ জিল্যান্ডকে একাধিকবার হারিয়েছে। হারিয়েছে আয়ারল্যান্ডের মাটিতেও। সেসব পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ মাঠে থেকে পেয়েছেন টেলর। সেজন্য প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ে ভয়, সম্মান সবই আছে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ২৩২ ম্যাচে ৮ হাজার ৫৭৪ রান করা টেলরের। তার ভাষ্য, ‘আমি মনে করি না, তারা শেষ ম্যাচে জয়ের থেকে খুব একটা দূরে ছিল। ম্যাচের ওই মুহূর্তে ক্যাচগুলো ধরতে পারলে আমরা চাপে পড়ে যেতাম। কারণ এরপর ব্যাটিংয়ে যারা ছিল তারা পর্যাপ্ত খেলার সুযোগ পায়নি।’
‘বাংলাদেশ সব সময়ই ভয়ংকর দল। খেলাটা যদি বাংলাদেশে হতো তাহলে আরও বেশি ভয়ে থাকতে হতো। ধীর গতির ওই ধরণের কন্ডিশনে তারা দারুণ দল। ক্রাইস্টচার্চেও এমন কিছু পেয়েছিল।’ – যোগ করেন টেলর।
হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে প্রথম দুই ওয়ানডে খেলতে পারেননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তৃতীয় ওয়ানডের আগে ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করেছেন তিনি। তবে আগামীকাল ম্যাচে খেলবেন কিনা নিশ্চিত করেননি।
আরবিসি/২৫ মার্চ/ রোজি