আরবিসি ডেস্ক: তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। এই গরম থাকবে আরও বেশ কয়েকদিন। আরও দুই থেকে তিন দিন একই রকম তাপপ্রবাহে পুড়বে দেশ। এরপর নামতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আগামী রবিবার ঢাকার আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখা যেতে পারে। এছাড়া এপ্রিল মাস জুড়ে থেমে থেমে চলবে এই তাপপ্রবাহ, সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখী ঝড়ও।
=বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গতকাল মঙ্গলবার এই তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ১। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ৩৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ৩৮ দশমিক ৭, সিলেটে ৩৬ দশমিক ৪, রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৮, রংপুরে ৩৪ দশমিক ৩, খুলনায় ৩৭ দশমিক ২ এবং বরিশালে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ আগামীকাল বৃহস্পতিবার অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘এই তাপমাত্রা থাকবে আরও কয়েকদিন। এরপর ২৮/২৯ মার্চ এর দিকে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় কমে আসবে তাপমাত্রা। এছাড়া আগামী মাসের তাপমাত্রাও এমনই থাকবে। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলেছি যে, মাসের একটি সময়ে এসে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে উঠতে পারে। সে সময় তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করবে।’
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশ এবং এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। তাপপ্রবাহ প্রবণ এলাকা ছাড়া দেশের অন্য এলাকার আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এক থেকে দুটি নিম্নচাপ হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এপ্রিল মাসে উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ধরনের বা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় এবং দেশের অন্য এলাকায় চার থেকে পাঁচ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে জানানো হয়, এই মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে। এই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরেও যেতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘তীব্র গরমে মাটি তপ্ত হয়ে উঠছে। টানা বৃষ্টি না হলে কমবে না এই গরম। আর এই মৌসুমে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই কম। তাই গরম কিছুটা কমলেও তাপপ্রবাহ আগামী মাসেও হতে থাকবে। সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়ও। তবে ঝড়ের পর তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে।’
আরবিসি/২৪ মার্চ/ রোজি