স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা পুনরায় যাচাই-বাছাইয়ের দাবি জানানো হয়েছে। সম্প্রতি যাচাই-বাছাইকালে যারা গেজেট নিয়মিত করার সুপারিশ পাননি তারা মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানিয়েছেন।
এরা আগেই বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তারা ভাতাও পান। তবে তারা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশ ছাড়াই গেজেটভুক্ত হয়েছিলেন। এ রকম ১৬০ জনের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করার নির্দেশনা দিয়েছিল জামুকা।
গত ফেব্রুয়ারিতে এই যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়। যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান রাজা। আর সদস্য সচিব ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক। অন্য দুই সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী এস. মনিরুল ইসলাম।
এই কমিটি ১২৬ জনের গেজেট নিয়মিত করার সুপারিশ করেনি। এদের মধ্যে ৮৪ জনের আবেদন সরাসরি নাকচ হয়েছে। ২৬ জন গেজেট নিয়মিত করার আবেদন না কারণে তাদের ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়নি। এছাড়া আটজনের ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্তি সিদ্ধান্ত আসায় গেজেট নিয়মিত করার সুপারিশ করা হয়নি।
যারা গেজেট নিয়মিত করার সুপারিশ পাননি তারা বলছেন, ওই যাচাই-বাছাই ছিল একটা প্রহসন। সেই যাচাই-বাছাই বাতিল করে নতুন করে যাচাইয়ের দাবিতে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলকে স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তারা জেলা প্রশাসক আবদুল জলিলের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন। এ সময় তারা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ তোলেন।
তারা বলেন, বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের অতিথির তালিকা থেকে বাদ না দিলে আগামী ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসে তারা জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রহসনের তালিকা করা হয়েছে দাবি করে তারা তা পুনরায় বিবেচনার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানান। এ সময় জেলা প্রশাসক তাদের দাবি দুটি বিবেচনার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
মতবিনিময়কালে যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হকও উপস্থিত ছিলেন। আর গেজেট নিয়মিত করার সুপারিশ না পাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে ছিলেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ডা. আবদুল মান্নান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহাদুল হক মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবদুল হাসনাত প্রমুখ।
আরবিসি/২৩ মার্চ/ রোজি