• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন

বাগমারার ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি ৯ মেম্বারের

Reporter Name / ২৭৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারায় মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম আলী আসকানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দূনীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে তার অপসারণ দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদন করেছেন ইউপি সদস্যরা। আবেদনের নয়জন সদস্যই স্বাক্ষর করেছেন।

এরা হলেন, ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফুল, ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম, ৪ নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম, ৬ নং ওয়ার্ডের মোয়াজ্জেম হোসেন, ৭ নং ওয়ার্ডের আবুল জাফর, ৯ নং ওয়ার্ডের আব্দুল আজিজ এবং তিনজন নারী সদস্য, পলি বিবি, মর্জিনা বিবি ও রেবেকা বিবি।

আবেদনের অনুলিপি স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয়ের সচিব, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব, রাজশাহী জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার দুর্নীতি দমন কমিশন ও বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাজশাহী জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আবেদনের অনুলিপি পাঠানো হয়। এর আগে ১৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আবেদনটি পাঠানো হয়েছে।

আবেদনের চেয়ারম্যান আসলাম আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাতে প্রায় বিশ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আসলাম আলী আসকান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বাীকার করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম আলী আসকান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমানকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাত করে আসছেন। বিগত সময়ে তিনি বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি করে প্রায় বিশ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগ দল করায় তার এসব দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে তাকে লাঞ্চিত ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।

অভিযোগ মতে, গত পাঁচ বছরে তিনি ইউপির সকল সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে তাদের মতামত উপেক্ষা করে ইউনিয়নের সকল প্রকল্পের সরকারী টাকা আত্মসাত করেন। তিনি দুস্থ্য অসহায়সহ বিভিন্ন ভাতাভোগিদের টাকার বিনিময়ে সরকারি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন।

এছাড়াও ভূয়া প্রকল্প তৈরি এবং ভুয়া সীল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করে থাকেন এই চেয়ারম্যান। তিনি চল্লিশ দিনের কর্মসূচীতে নিজস্ব নামধারী লোক দিয়ে সমুদয় টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন ও আত্মসাত করেছেন। ৪৬ মাসের ইউপি সদস্যদের সম্মানী ভাতার টাকা না দিয়ে তিনি আত্মসাত করেন।

ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন সরকারি জায়গায় নির্মিত মার্কেট থেকে টাকা উত্তোলন করে সরকারী খাতে জমা না দিয়ে তিনি আত্মসাত করেছেন। সুবিধা নিয়ে অবৈধ ইটভাটা গড়ার সুযোগ ও সরকারি খালের পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করে একাধিক অবৈধ পুকুর খনন করে জলবদ্ধতার সৃষ্টি করা হয়েছে। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এলাকার শত শত কৃষক।

আবেদনকারি ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম বলেন, এর আগে নয়জন সদস্য রেজুলেশনের সাক্ষর করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এসে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ জন্য এবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি জানানো হয়েছে।

সব অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আসলাম আলী আসকান বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার মনোনয়ন ঠেকাতে কয়েকজন সদস্য এক হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এর অংশ হিসেবে তারা বিভিন্ন দপ্তরে আবার বিরুদ্ধে দরখাস্তা দিয়েছে।

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ বলেন, তাদের কাছে য়ে আবেদন এসেছে সেটি জেলা প্রশাসক সারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরবিসি/২৩ মার্চ/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category