স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশনায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সাহেব বাজার মুড়িপট্টির বৈশাখী মার্কেটের তৃতীয় তলায় ৩০জন দোকানীকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনে সিটি হল সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে টোল প্রদানকারী ৩০ ব্যবসায়ীকে লটারির মাধ্যমে তাদেরকে দোকান নম্বর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে লোকনাথ স্কুলের সামনে সড়কের উপর অস্থায়ী ব্যবসারত এসব দোকানীদেরকে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে সেখানের দোকান থেকে মালামাল অপসারণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। দোকানগুলো অপসারণের মাধ্যমে উক্ত সড়ক প্রশস্ত হবে। ফলে সড়কটিতে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল নির্বিঘ্ন হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু। এ সময় রাসিকের ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মীর শাহরিয়ার সুলতান, সম্পত্তি কর্মকর্তা আবু নূর মো. মতিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লটারির মাধ্যমে এ ক্যাটাগরিতে পঞ্চলালের ছেলে মনি গোপাল মন্ডল ৯ নম্বর দোকান, মানিক চৌধুরীর ছেলে গৌতম চৌধুরী ১৩ নম্বর দোকান, শৈলেস চন্দ্রের ছেলে সনদ কুমার সরকার ২৩ নম্বর দোকান, তসলীম উদ্দিনের স্ত্রী রওশন আরা বেগম ১ নম্বর দোকান, হায়াত শেখের ছেলে মোঃ নুরুন্নবী ১৪ নম্বর দোকান, হাজী আতর আলীর ছেলে মোঃ ইউনুস আলী ২৬ নম্বর দোকান, হাজী আতর আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক ২৭নম্বর দোকান, বি ক্যাটাগরিতে ক্যাটাগরিতে ফজলুর রহমানের ছেলে মোঃ আব্দুর রহমান ৮ নম্বর দোকান, মৃত সিতাংশের ছেলে দিপক কুমার চৌধুরী ৪ নম্বর দোকান, ময়েজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ ইয়াদুল্লাহ ১০ নম্বর দোকান, মোঃ জাকারিয়ার ছেলে জিল্লুর রহমান ২১ নম্বর দোকান, মৃত জমিরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর ১১ নম্বর দোকান, মফিজ উদ্দিন শাহের ছেলে সিরাজ উদ্দিন শাহ ১৬ নম্বর দোকান, আবুল কাশেমের ছেলে মাইনুল ইসলাম ১৯ নম্বর দোকান, আব্দুল সাবেরের ছেলে আব্দুস সাত্তার ২৫ নম্বর দোকান, মৃত খুরশেদ মিয়ার ছেলে সিরাজুল হক ৭ নম্বর দোকান, নাদের হোসেনের ছেলে আব্দুল মতিন ২০ নম্বর দোকান, মৃত গোপাল চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী রমেন চন্দ্র রায় ৩০ নম্বর দোকান, মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে শফিকুর রহমান চাঁদ ১৭ নম্বর দোকান, মৃত একরাম আলীর ছেলে বদিউজ্জামান ১২ নম্বর দোকান, মৃত শিতাংশের ছেলে মোহিত কুমার চৌধুরী ১৫ নম্বর দোকান, মৃত আরমান আলীর ছেলে শামীম হোসেন ৩ নম্বর দোকান, মৃত হায়দার আলীর ছেলে ইতিমুল ইসলাম ২৪ নম্বর দোকান, মৃত গোপালের ছেলে তিলক কুমার চৌধুরী ৬ নম্বর দোকান, মৃত ফকির মুহাম্মদের সোহরাব হোসেন ২২ নম্বর দোকান, মৃত হাকিমের ছেলে কাসেম ১৮ নম্বর দোকান, মৃত অফির উদ্দিনের ছেলে আলেম ২৯ নম্বর দোকান, মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে সাজেদুর রহমান ৫ নম্বর দোকান এবং মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে আজিজুর রহমান ২ নম্বর দোকান পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় সাহেব বাজার মুড়িপট্টিতে বহুতল বৈশাখী মার্কেট নির্মিত হচ্ছে। মার্কেট নির্মাণের শুরুতে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের পুনর্বাসন করলো রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।
আরবিসি/২৩ মার্চ/ রোজি