আরবিসি ডেস্ক : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে যৌতুকের মামলা তুলে না নেওয়ায় ইয়ামিন আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূকে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। গৃহবধূ ইয়াসমিন আক্তার উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের বালিহাটা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে।
গত ১০ মার্চ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের বালিহাটা গ্রামে এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
আদালতে নির্যাতিত নারী ইয়াসমিন আক্তারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ফুফাত ভাই পাবেল মিয়ার সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো। এরই মাঝে যৌতুক না দেয়ায় দুইবার গর্ভপাত করিয়েছে স্বামী পাবেল ও তার পরিবারের লোকজন।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত বছরের পহেলা নভেম্বর দশ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী ও তার পরিবার ইয়াসমিনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে আট নভেম্বর ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মো. পাবেল মিয়াকে গত পহেলা মার্চ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
নির্যাতিতার ভাই মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ১০ মার্চ আমার বোন মাঠে ছাগল আনতে গেলে চাচা আনোয়ার মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেন। মামলা তুলে না নিলে মারধর করা হবে জানায় চাচা। তখন মামলা তুলে নিবে না বলতেই চাচাত ভাই তানভীন আলম, চাচা আনোয়ার, চাচাতো বোন তানবিনা আক্তার লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাপাতালে ভর্তি করি।
হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে সোমবার দুপুরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, নারী নির্যাতনে অভিযুক্তদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরবিসি/২২ মার্চ/ রোজি