• বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

কচুরিপানায় ভরেছে ফকিরানী-বারনই

Reporter Name / ১৩৫ Time View
Update : সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার: কুচুরীপানায় ভরে গেছে ফকিরানী- বারনই নদীর প্রায় শতাধিক কিলোমিটার নৌপথ। র‌্যাবার ড্যামের কারণে এই দুই নদীতে গড় পানির উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ ফিট থাকলেও কচুরীপানার কারণে স্থানীয় ভাবে এই নৌপথ ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ইট পাথর বালি সিমেন্ট বিভিন্ন পন্য আনা নেওয়ার কাজে সড়ক পথ ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে দ্বিগুন।

বাগমারা কৃষি বিভাগ ও বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প (বিএমডিএ) সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর আত্রাই নদীর একটি শাখা মান্দার জোতবাজার হয়ে বাগমারায় প্রবেশ করেছে ফকিরানী নদী নাম ধারন করে। নদীটি বাগমারা থানা সংলগ্ন স্থানে বারনই নদীতে মিশেছে।
মান্দা থেকে বাগমারা থানা পর্যন্ত নদীর দৈর্ঘ প্রায় বিশ কি:মি:। পরে বারনই নদীটির পূর্ব অংশ তাহেরপুর নলডাংগা ও নাটোরের সিংড়া হয়ে যমুনা নদীতে মিশেছে এবং পশ্চিম অংশ রাজশাহীর নওহাটা হয়ে মিশেছে পদ্মা নদীতে। নদীটির এই উভয় অংশের দৈর্ঘ প্রায় ৮০ থেকে ৯০ কি.মি। দীর্ঘ এ নদী পথ এখন কচুরীপানায় ভরপুর। ফলে এখানকার নৌপথ এখন অচল। আগে আগে এই নৌপথ ধরে সুদুর রাজশাহী নওগাঁ নাটোর এই তিন জেলার মদ্যে অতি সহজে নৌপথে ইট বালি সিমেন্ট সহ বিভিন্ন ভারি পন্য অতি সহজে ও কম খরচে আনা নেওয়া করা যেত। এখন কচুরীপানায় কারণে এসব পন্য এখন সড়ক পথে আনা নেওয়া করতে হচ্ছে। এতে নৌপথের তুলনায় খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। ভবানীগঞ্জ বাজার ও তাহেরপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, তারা রাজশাহী ও নওগাঁ থেকে বিভিন্ন পন্য এই নৌপথে আনা নেওয়া করত।

এখন কচুরীপানার কারণে নদী পথে আর নৌকা চলাচল করতে পারে না। ফলে তাদের সড়ক পথে এসব পন্য আনা নেওয়া করতে হয়। স্থানীয় কৃষকরা জানান, আগে এই সময়ে উভয় নদী সম্পর্ণ শুকিয়ে যেত। পরে নাটোরের নলডাংগায় রাবারড্যাম দেওয়ার কারণে এই নদীতে সারা বছর পানি থাকে। ফলে তারা আনায়াসে সেচ কাজ চালাতে পারেন। অনেকে নদীর পানি পুকুরে নিয়ে মাছ চাষেরও সুবিধা ভোগ করছেন।

বাগমারা বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্পের (বিএমডিএ)’র উপসহকারি প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, রাবার ড্যামের কারণে পানি স্থির থাকায় কুচুরীপানা হয়েছে। রাবারড্যাম খুলে দিলে নদীতে স্রোত সৃষ্টি হলে কুচুরীপানা আর থাকবে না। তবে রাবারড্যামের কারণে নদীতে এখন সারা বছর পানি থাকায় কৃষি ও মাছ চাষে এলাকার লোকজন ব্যাপক উপকৃত হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাগমারা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাজিবুর রহমান জানান, রাবারড্যামের কারণে নদীর দুই পারের কৃষকরা ভ’উপরিস্থ পানি দিয়ে কৃষি জমিতে অতি সহজে সেচ দিতে পারছে। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা পাচ্ছে এবং জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আরবিসি/২২ মার্চ/ রোজি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category